ভাইরাল, ৯ জানুয়ারী : নোটে লেখা মানুষের একটি সাধারণ অভ্যাস। যাইহোক, এব্যাপারে আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট ভাইরাল হচ্ছে, যাতে দাবি করা হচ্ছে যে নতুন নোটে কিছু লেখা থাকলে তা বৈধ হবে না।
স্ক্রিবলড নোটস ইনভ্যালিড ফ্যাক্ট চেক। তথ্য দিয়ে বলা হয়েছিল যে এগুলো আরবিআই-এর নতুন নির্দেশিকা। তবে এখন বিষয়টি স্পষ্ট করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
ভাইরাল হওয়া ভুয়া পোস্টে লেখা ছিল- আরবিআই-এর নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, নতুন নোটে কিছু লিখলে তা বেআইনি হয়ে যাবে। এটা বৈধ হবে না।
আমেরিকাতেও এমনটা হয়, সেখানে কেউ লিখিত নোট নেয় না। যতটা সম্ভব এটিকে ফরোয়ার্ড করুন যাতে ভারতের মানুষ এটি সম্পর্কে জানতে পারে।
এই টুইটের পর ভারত সরকারের একটি সংস্থা পিআইবি (প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো) একটি টুইট করেছে। এতে দাবির সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে বলা হয় ব্যাঙ্কনোটে লেখা কি এটাকে অবৈধ করে?
না খোদাই করা ব্যাঙ্ক নোটগুলি অবৈধ নয় এবং আইনি টেন্ডার থাকবে।
ক্লিন নোট নীতির অধীনে লোকেদের অনুরোধ করা হচ্ছে যেন তারা কারেন্সি নোটে না লিখে, কারণ এটি তাদের চেহারা নষ্ট করে এবং তাদের শেলফ লাইফ কমিয়ে দেয়।
অর্থাৎ দাবিটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে, নোটে লিখলে সেগুলো অবৈধ হয়ে যাবে না।
আরবিআই-এর ক্লিন নোট পলিসি ১৯৯৯ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি নীতি বাস্তবায়ন করেছে, এতে নোটে না লেখার জন্য জনগণকে অনুরোধ করা হয়েছে।
পাশাপাশি নোংরা ও বিকৃত নোট বিনিময়ের জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে অবাধ সুবিধার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ব্যাঙ্কগুলিকে জনসাধারণের জন্য শুধুমাত্র ভাল মানের পরিষ্কার নোট ইস্যু করার এবং জনসাধারণের দ্বারা প্রাপ্ত নোংরা নোটগুলিকে পুনর্ব্যবহার করা এড়াতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য হল নাগরিকদের ভাল মানের নোট দেওয়া এবং নোংরা নোটগুলিকে প্রচলন থেকে বের করে দেওয়া।