জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ২০ জানুয়ারি : করিমগঞ্জে পুনঃনির্মাণ হওয়া সৎসঙ্গ বিহারের উদ্বোধন এবং শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের উত্তরসূরী অর্কদুতি চক্রবর্তী (বাবাইদা)-র করিমগঞ্জ আগমনকে ঘিরে সেজে উঠেছে করিমগঞ্জ শহর।
উৎসবস্থল নীলমণি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ, জাহাজ গোদাম এবং করিমগঞ্জ কলেজের খেলার মাঠে বিশাল মন্ডপ তৈরি করা হয়ে গেছে।
জাহাজ গোদাম এবং করিমগঞ্জ কলেজের মাঠে দীক্ষা দান হবে। সুষ্ঠুভাবে কাজ সম্পাদন করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে লঙ্গাই রোডের মন্দিরে ৪৫০ জন স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ব্যাজ বন্টন করা হয়েছে। শুক্রবার স্বেচ্ছাসেবকদের জাহাজ গোদাম এবং করিমগঞ্জ কলেজের মাঠে নিয়ে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উৎসব উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে শহর এবং গ্রামাঞ্চলে। আবেদনপত্র বিতরণ করা চলছে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিশাল আকারের তোরণ বসানো হয়েছে।
পুরো শহরে সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন রঙের পতাকা লাগানো হয়েছে।
এছাড়া শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের বিভিন্ন বাণী সম্বলিত ফ্লেক্স বসানো হয়েছে। জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় তুলির টান পড়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে এওসি পয়েন্টে জাতীয় সড়কের মধ্যে তুলি দিয়ে আলপনা এঁকেছেন শিল্পীরা।
এদিকে, লঙ্গাই রোডের সৎসঙ্গ বিহার মন্দিরে এখনো কাজ চলছে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে। রাত জেগে কাজ করছেন শ্রমিকরা। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সংখ্যক শ্রমিকদের কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে।
উৎসব উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারতের মধ্যে দৃষ্টিনন্দন মন্দিরের অন্যতম হবে করিমগঞ্জ সৎসঙ্গ বিহার।
দুই দিনের উৎসবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে উৎসব উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, নীলমণি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে মূল উৎসব আয়োজিত হবে। দীক্ষাদান হবে পার্শ্ববর্তী জাহাজ গোদাম এবং করিমগঞ্জ কলেজের খেলার মাঠে। আনন্দবাজার অর্থাৎ প্রসাদ বিতরণও করা হবে ভক্তদের মধ্যে করিমগঞ্জ কলেজের মাঠে।