আগরতলা,২০ জানুয়ারি : শুক্রবার ত্রিপুরা জিরানিয়া মহকুমায় রাজনৈতিক সহিংসতা সময় উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্বাচন কমিশন অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে।
যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- জিরানিয়া মহকুমা পুলিশ কর্মকর্তা (এসডিপিও), রানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও জিরানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
এর আগে পোল প্যানেল জিরানিয়ায় রাজনৈতিক সহিংসতার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল, যে ঘটনায় কংগ্রেসের ত্রিপুরার ইনচার্জ অজয় কুমার আহত হয়েছিলেন।
এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসি বলেছে, রাজ্যে পর্যাপ্ত সিএপিএফ কর্মী মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও পরিস্থিতি কেন বেড়েছে? এব্যাপারে ত্রিপুরার মুখ্য সচিব এবং পুলিশের মহাপরিচালকজিজ্ঞাসা করা হয়েছে।
কমিশনের কঠোর নির্দেশনা সত্ত্বেও এরকম সহিংসতার ঘটনায় কমিশন অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
রাজ্যের সিএস এবং ডিজিপিকে সমস্ত রাজনৈতিক দলের জন্য সমান ক্ষেত্র নিশ্চিত করতে এবং পক্ষপাতদুষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেছেইসি।
কমিশন সিএস ও ডিজিপিকে নির্দেশ দিয়েছে জিরানিয়া মহকুমার এসডিপিও, রানী বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ এবং জিরানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে।
কমিশন সিএস এবং ডিজিপিকে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের হুমকি মূল্যায়ন করে অবিলম্বে সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রধান নির্বাচনী আধিকারিক ত্রিপুরাকে প্রথম-কাম-প্রথম ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলিকে সভা, সমাবেশ, রোডশো করার আবেদনের নিষ্পত্তির জন্য সুবিধা অ্যাপ জনপ্রিয় করতে জেলা নির্বাচন অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন।
কমিশন তিনটি বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে, পরিস্থিতির স্টক, সিএপিএফ-এর যথাযথ মোতায়েন নিশ্চিত এবং প্রয়োগের ব্যবস্থা জোরদার করে ফিরে কমিশনে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। এই তিনটি ব্যাপারে যে তিনজনকে বিশেষ পর্যবেক্ষক করে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন যোগেন্দ্র ত্রিপাঠি, বিবেক জোহরি এবং বি. মুরলী কুমার।