আগরতলা, ১৫ ফেব্রুয়ারি : ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের দুই দিন আগে ত্রিপুরা মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্নালী গোস্বামী শারীরিকভাবে হয়রানি হওয়ার অভিযোগ করেছেন৷
বর্নালী নিজে বিজেপির একজন সদস্য হওয়ার পরেও ধর্মনগরের বিজেপি প্রার্থী বিশ্ববন্ধু সেনের বিরুদ্ধে নীরব প্রচারণা চালানোর সময় শারীরিক হয়রানির শিকার হন৷
সেন ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ, ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ধর্মনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন।
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, বিজেপির এক মহিলা কর্মকার্তা বলেছেন যে দল বর্নালী গোস্বামীকে টিকিট না দেওয়ায় তিনি সেনের বিরুদ্ধে নীরব প্রচার করেছিলেন।
এমনকি ভোটারদেরকে তিনি বিজেপি প্রার্থী বিশ্ববন্ধু সেনকে ভোট না দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন।
তারা আরও দাবি করেছে যে গোস্বামী কংগ্রেস প্রার্থীর পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের অনুরোধ করেছিলেন বলে জানা গেছে।
বিজেপির এক কর্মীর দাবী করেছেন, বর্ণালি আমার বাড়িতে এসেছিলেন এবং প্রাক্তন মন্ত্রী কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন ত্রিপুরার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে যে বিজেপির কিছু মহিলা কর্মী বর্নালিকে একটি বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গেছে।
এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে, গোস্বামী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে তিনি বিশ্ববন্ধু সেনের বিরুদ্ধে কখনও কোনও প্রচার চালাননি।
তিনি বলেন, যাদের সাথে আমি দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির হয়ে কাজ করেছি, আমি বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে তাদের সাথে বৈঠক করতে ধর্মনগরে এসেছি।
আমি যখন বিজেপি কার্যকর্তা বিশ্বজিৎ মালাকারের বাড়িতে আসি, তখন হঠাৎ বিজেপির নামে কিছু লোক আমাকে ঘেরাও করে এবং বাড়ির বাইরে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করে।
আমি বুঝতে পারছি না কার নির্দেশে তারা আমার উপর এমন হামলা করেছে, বলেছেন বর্নালী।
তিনি দাবি করেছেন, যারা তার উপর হামলা করেছে তাদের তিনি তার দলীয় কর্মী হিসাবে বিবেচনা করেন না, কারণ বিজেপি একটি আদর্শের দল। বিজেপির আসল কর্মীরা এমন কাজ করবে না। তারা দলকে ধ্বংস করার জন্য কাজ করছে, বলেছেন বর্ণালি।