রোহতক, ১০ সেপ্টেম্বর, শনিবার : সোনার মানুষ দিল্লি গিয়ে বদলে গেছেন। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মোদি সোনার মতো ছিলেন, কিন্তু দিল্লি যাত্রার পর পাল্টে গেছেন পুরোপুরি।
নেতিবাচক প্রভাবের ফলেই হয়তো এরকম হয়েছে। মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক এই মন্তব্যই করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ করে। তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে কৃষকদের পক্ষে দাঁড়াতেন মোদি। কিন্তু এখন আর তিনি কৃষক বা সেনা জওয়ানদের খেয়াল করেন না। এখন তিনি শিল্পপতি আম্বানি-আদানিদের পক্ষ নেন।
শুক্রবার রোহতক জেলার বোহারে একটি সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন সত্যপাল মালিক। সেখানেই তিনি মোদি সরকারের উপর ক্ষোভ প্ৰকাশ করে বলেন, মোদি সরকার ফসলের ন্যূনতম সাধারণ মূল্য নিয়ে আইনি নিশ্চয়তা দেওয়ার কথা ভাবছে না।
এর জন্য কৃষকদের আরেকটি আন্দোলন করতে হবে। এজন্য কৃষকদের প্ৰস্তুত হওয়া উচিত মন্তব্য করে সবাইকে সেই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার পরামর্শও দেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল।
রাজ্যপালের ক্ষোভ, একদিকে আদানি সব চেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়ে উঠছেন আর কৃষকদের লড়তে হচ্ছে এমএসপির জন্য। দীর্ঘদিন ধরে দিল্লির আশেপাশে আন্দোলনরত কৃষকদের সমস্যার সমাধান না করার জন্য এবং সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিতে আগ্রহী যুবকদের জন্য অগ্নিপথ প্রকল্প চালুর ক্ষেত্ৰে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক মোদির তীব্র সমালোচনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে মালিক বলেন, সামান্য কুকুরের মৃত্যুতেও বিবৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কৃষকদের আন্দোলনের সময় ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে, সে-সময় শাসক দলের কেউই একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি।
ঠোঁটকাটা রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত সত্যাপাল তাঁর পদ হারানো নিয়ে চিন্তা করেন না বলেও জানালেন। বলেন, হরিয়ানা, পঞ্জাব, রাজস্থানের কৃষকদের সচেতন করার লক্ষ্যে প্রতি মাসে ছয়টি জনসভায় যোগ দেন। এতে যদি তাঁকে রাজ্যপালের পদ থেকে সরেও যেতে হয় কোনও পরোয়া নেই, পদত্যাগ পত্ৰ তিনি সবসময় নিজের পকেটেই রাখেন। তিনি কৃষকদের আগামী নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক শক্তির প্ররোচনায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।