উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরার রাজনীতি উত্তপ্ত
ধর্মনগর থেকে গণ আওয়াজ প্রতিনিধ অভিজিত সোম, ১৭ জুন, ২০২২ ইং, শুক্রবারঃ
যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির অপশাসনকে উন্মোচিত করতে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের উপনির্বাচনের প্রার্থী ডঃ মৃণালকান্তি দেবনাথ শুক্রবার বর্তমান বিজেপি সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে একটি অভিযোগপত্র প্রকাশ করেছেন।
২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি যুবরাজনগর সমষ্টির উন্নয়ন নিয়ে ইস্তেহার প্রকাশ করেছিল। কিন্তু ইস্তেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ব্যর্থতার অভিযোগ এনে উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ডঃ মৃণালকান্তি দেবনাথ সাংবাদিক সম্মেলন করে এই চার্জশীট প্রকাশ করেন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্তিত ছিলেন, তৃনমূল নেতা সুদীপ রাহা, বাপ্টু চক্রবর্তী, উত্তম বারিক, ফকরুদ্দিন এবং জয়া দত্ত।
যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের উপনির্বাচনের প্রার্থী ডঃ মৃণালকান্তি দেবনাথ জানান, এই কেন্দ্রের মানুষ তাঁর কাছে এসে অভিযোগ করেছেন গত ৫০ বছরেও তারা সুন্দর একটিও রাস্তা দেখেনি।
সুদীপ রাহা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী একজন চিকিৎসক, তিনি কি কখনও নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শন করেছেন? এখানকার মানুষকে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন? কেন যুবরাজনগরে কোনো ব্লাড ব্যাঙ্ক না থাকায় লোকজন ১০ কিলোমিটার দূরে ধর্মনগরে ছুটে যেতে হয় চিকিৎসার জন্য?
দেশের সর্বোচ্চ বেকারত্বের হার ত্রিপুরায় (১৭.৪%) যা, জাতীয় গড়ের থেকে অনেক বেশি। বিজেপির ডবল-ইঞ্জিন সরকার ত্রিপুরার জনগণকে কোনও চাকরি, রাস্তা, হাসপাতাল বা কোনও জনসেবা দেয়নি।
অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে কীভাবে বিধ্বস্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর পাশাপাশি, লালচেরা, ধুপিরবন্ড এবং উপখালির মতো গ্রামগুলিতে এখনও সাপ্লাই জলের সংযোগ না পৌঁছানোয় এলাকার মানুষকে বাধ্য হয়ে পানীয় জলের উদ্দেশ্যে নোংরা জলের উপর নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে।
তৃণমূল প্রার্থী মৃণালকান্তি দেবনাথ প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, আমরা ক্ষমতায় এলে জনগণের জন্য লড়াই করব এবং তাদের সমস্যার সমাধান নিশ্চিত করব। নির্বাচনী এলাকায় হাসপাতাল থাকলেও পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই, বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য কাজ করতে চাই।
স্থানীয়দের কাছ থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযোগপত্র তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তৃনমূল নেতারা। ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসও ২৩ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসন্ন উপ-নির্বাচনের আগে রাজ্যব্যাপী অভিযোগপত্র চালু করেছে।