কংগ্রেসের আহ্বানে রবিবার করিমগঞ্জ মিশন রোডের বঙ্গভবনে নাগরিক সভা
জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ৪ মার্চ : করিমগঞ্জ পুরএলাকায় অস্বাভাবিকহারে কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের ফলে সরব হয়েছে করিমগঞ্জ কংগ্রেস।
এই কর মনে করছে করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেস।
বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ এ নিয়ে বিজেপি এবং পুরবোর্ডকে আক্রমণ করেছেন। মূলত তার উদ্যোগে আগামী রবিবার মিশন রোডের বঙ্গভবনে এক নাগরিক সভা আহ্বান করা হয়েছে।
সভা শুরু হবে সকাল সাড়ে ১১ টায়। অন্যদিকে, বিধায়কের নাগরিক সভা আহবান করার খবর পেয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে ৬ মার্চ পৃথক নাগরিকসভা আহ্বান করা হয়েছে একই স্থানে।
শহর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি তাপসকান্তি পুরকায়স্থ শুক্রবার এ খবর জানিয়ে বলেছেন, অস্বাভাবিকহারে পুরকর বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ১০ গুন বৃদ্ধি করা হয়েছে, এর ফলে জনগণ নাজেহাল হয়ে পড়েছেন।
মূল্যবৃদ্ধির ফলে এমনিতেই সমস্যায় জনগণ, এর উপর কর বৃদ্ধির ফলে জনগণের নাভিশ্বাস চরমে উঠেছে।
এটা সম্পূর্ণ বিজেপি নেতৃত্বাধীন পুরবোর্ড অবিবেচক কাজ।
তার প্রতিবাদে বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের উদ্যোগে আগামী ৫ মার্চ, রবিবার বঙ্গভবনে এক নাগরিক সভা আহ্বান করা হয়েছে।
এতে ভুক্তভোগী জনগণকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন শহর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি।
উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বলেছেন, বিজেপি তুঘলকিরাজ চালাচ্ছে, যেখানে অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে কর কমানোর কথা, সেখানে উল্টো কর বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বিজেপিকে জনগণ দুই হাত ভরে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছেন, এটাই কি তাহলে সুশাসন? প্রশ্ন তুলেন কমলাক্ষ।
তিনি আরো বলেছেন, আসলে কর বৃদ্ধি করে নালা নর্দমা পরিষ্কার করার নামে অর্থ আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা চলছে।
কংগ্রেস তা কোন অবস্থাতেই মেনে নেবে না, নাগরিক সভার পর পরবর্তী কার্যসূচি স্থির করা হবে।
বিধায়ক বলেছেন, আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগেই সেল্ফ এসেসমেন্ট হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেসময়ের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন পুরভোট জনগণের কথা চিন্তা করে তা স্থগিত রাখে।
অন্যদিকে, পুরকর বৃদ্ধি নিয়ে শহরবাসীর লিখিত আপত্তি কিংবা আবেদন পুরসভা কার্যালয়ে গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে একাংশ জনগণের পক্ষ থেকে।
পুরসভার পক্ষ থেকে তাদের নাকি বলা হয়েছে পুর কমিশনারের কাছে নির্দিষ্ট প্রপত্রে আবেদন, আপত্তি জমা দেওয়ার জন্য।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন উপ-পুরপতি সুখেন্দুশেখর দাস।
তিনি বলেছেন, পুরসভা কার্যালয়ে এর জন্য আলাদা সেল গঠন করা হয়েছে, ২৭ টি ওয়ার্ডের জন্য পৃথকভাবে আপত্তি এবং অভিযোগ জমা নেওয়া হচ্ছে।
১৯৯১ সালে সর্বশেষ এসেসমেন্ট হয়েছিল। তখনকার জমির মূল্য আর বর্তমানের জমির মূল্য রাতদিন পার্থক্য। তবে কর বৃদ্ধি নিয়ে জনগণের আপত্তি থাকলে বোর্ডসভা ডেকে ফের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন উপ-পুরপতি।