৩০ এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ মন্ত্রী বিমল বরার
কাটিগড়া, ১০ মার্চ : নাবার্ডের অর্থে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে কাটিগড়াকে প্রলয়ংকারী বন্যা থেকে রক্ষা করতে জিকে ডাইকেড় কাজ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ্টি দেখা দিয়েছে, বাড়ছে শংকাও।
মূখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নির্দেশে বুধবার রাজ্যের শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রী গুরুত্বপুর্ন বাঁধ পরিদর্শনে এলে এমন চিত্রই প্রকাশ্যে আসে।
স্থানীয়রা মন্ত্রী কাছে তাদের করুণ পরিনতির সাতকাহন তুলে ধরেন। বলেন, দফায় দফায় অর্থ মঞ্জুর হলেও এই বাঁধের কাজ আর শেষ হয় না।
জোড়াতালির মাধ্যমে কাজ করে কাজের যবনিকা টানা হয়, ফলে নদীতে জল বাড়লেই দেখা দেয় বন্যাতঙ্ক। কখন জানি বানের তোড়ে ভাসতে হয় এমন আশংকায় নিশি যাপন করেন তারা।
এবারও বৃহৎ পরিমান অর্থ বাস্তবায়নে চলছে গড়িমসি, রচিত হচ্ছে লুন্ঠনের ব্লু প্রিন্ট।
স্থানীয়রা জানান, বাধ সংস্কারে বালু-মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে, যা কোন মতেই টেকসই হবে না তাই বাড়ছে সঙ্কা।
স্থানীয়রা জল নিস্কাসনের জন্য স্থানে স্থানে কালবার্ড বসানোর আর্জি জানান, জবাবে মন্ত্রী জানান ব্যাপারটা গুরত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
মন্ত্রী এদিন মাটি ভরাট, জিও ব্যাগ ফিলিং সহ অন্যান্য টেকনিক্যাল দিক গুলো দেখতে কাছাড়ের জেলা শাসক রোহন কুমার ঝাঁকে নির্দেশ দেন।
কাছাড়ে জেলা শাসক রোহন কুমার ঝাঁ, পুলিশ সুপার নুমান মাহাতো, কাটিগড়ার বিধায়ক খলীল উদ্দিন মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে মন্ত্রী এদিন ঘুরে দেখেন সংস্কার কার্যের সাইড গুলো।
কথা বলেন স্থানীয়দের সাথে এবং তাদের অভিযোগ গুলো নোট করেন। তার কথায়, অত্যাবশ্যকীয় এই বাঁধ সংস্কারে কোন বাঁধা কাজে আসবে না।
উল্লেখ্য, আজ দীর্ঘ চল্লিশ বছরেরও বেশী সময় থেকে বাঁধ সমস্যায় ভূগছেন সাম জুড়াই, বড়জুড়াই, গনিগ্রাম ৩য়, মহাদেব পুর সহ অন্যান্য এলাকার মানুষ।
কিন্তু বছর বছর এই বাঁধ মেরামতের নামে দেধার সরকারী টাকা খরচ হয়, এই টাকা সফল বাস্তবানে এই বাঁধ আরসিসি করা যেত কিন্তু রহস্যজনক ভাবে আজও এই বাঁধ যেমন ছিল তেমনিই আছে।
বলা যায় ম্যানেজ ফর্মুলায় কাজ হওয়াতেই এই বাঁধের এই করুন পরিনতি। সুত্র মতে, গত দু’বছরে ২৩ টি আবাস গৃহ তলিয়ে গেছে নদী গর্ভে। ক্রমান্বয়ে তলিয়ে যাচ্ছে আস্ত আস্ত গ্রাম।
ঘরছাড়া হয়েছে অসংখ্য পরিবার। গত ২০২২ সালের প্রলংকারী বন্যার বিভৎস চিত্র পরখ করে গেছেন রাজ্যের জল সম্পদ মন্ত্রী পিযুস হাজারিকা।
তিনি তার সরকারে আমলে কাটিগড়ার রক্ষা কবচ জিকে ডাইকে স্থায়ী সংস্কার হবে বলে আশার বানী শুনিয়ে গেছেন।
শেষমেশ বদরপুরঘাট ইনভেস্টিগেসন সেন্টারের আওতায় জিকে ডাইকের ৮ কিঃমি সংস্কার কার্যে হাত দেয় জল সম্পদ বিভাগ।
এই কাজ পরিদর্শনেই এসেছিলেন মন্ত্রী বরা। পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী বরা ৩০ এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষন রেখা টেনে দেন।
আসন্ন বর্ষায় যাতে এখানকার জনগণকে আবারও দুর্ভোগ মোকাবিলা করতে না হয় সেদিকে দৃষ্টি রেখে কাজ করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।