মোস্তাফা এ মজুমদার, হাইলাকান্দি, ২৯ এপ্রিল : রতনপুরে টুকটুকি দূর্ঘটনা কয়েকজন লোক আহত হয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানান।
হাইলাকান্দি জেলার রতনপুর দ্বিতীয় খন্ডে টুকটুকি দূর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন যাত্রী গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হওয়ার ঘটনায় উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ প্রতিবাদ জানান।
এই দুর্ঘটনার জন্য সড়ক অবরোধ কারীরা জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগকে দায়ি করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, রতনপুর দ্বিতীয় খন্ড কাটাখাল নদীর পূর্বপারে অর্থাৎ বড়বিলে একটি জল প্রকল্পে নদী থেকে জল উঠানোর জন্য ঠিকাদার পূর্ত সড়ক খনন করেন।
স্থানীয় সচেতন জনসাধারণ এই পূর্ত সড়ক খননে বাঁধা দেন, কিন্তু ঠিকাদার কারো কথা না শুনেই সড়কটি খনন করেন।
এতে রতনপুর পূর্ত সড়কের উপর বিশাল আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়।
এরপর ঠিকাদারকে পূর্ত সড়কের উপর থাকা এসব ভয়ংকর গর্তগুলো ভরাটের জন্য দাবি জানান, কিন্তু তাতেও তিনি কাউকে পাত্তা দেননি।
এদিকে আজ হাইলাকান্দি অভিমুখী যাত্রীবাহী একটি টুকটুকি রতনপুর-বন্ধুকমারা ব্লক রাস্তার মূখে পূর্ত সড়কের মধ্যে থাকা বিশাল আকারের গর্তে পড়েই দূর্ঘটনা ঘটে।
এই দুর্ঘটনায় গাড়ীতে থাকা চারজন যাত্রী গুরুতর জখম হয়েছেন।
স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে হাইলাকান্দি এসকে রায় অসামরিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছেন।
আহতরা হলেন, মুজাক্কির হোসেন মজুমদার, নাজিরা বেগম মজুমদার, মিফতাউল ইসলাম মজুমদার ও রুকিয়া বেগম মজুমদার সহ আরও দুজন আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
এরপরই স্থানীয়দের পক্ষে জামাল উদ্দিন মজুমদার, মহিবুর রহমান চৌধুরী, আসক উদ্দিন মজুমদার, কায়ুম উদ্দিন মজুমদার, বদরুল ইসলাম লস্কর, জামাল উদ্দিন বড়ভূইয়া ও সাহারুল ইসলাম লস্কর সহ শতাধিক জনতা সড়ক অবরোধ করে হাইলাকান্দি জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের উপর এ ঘটনার সম্পূর্ণ দোষ চাপিয়ে দেন।
তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ কাজ সাড়ার পর গর্তগুলো ভরাট না করায় আজ এ ভয়াবহ দূর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
পিএইচই বিভাগের বিরুদ্ধে হায় হায়, হাইলাকান্দির পিএইচই ইঞ্জিনিয়ার মুর্দাবাদ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে উত্তাল প্রতিবাদ জানান অবরোধকারীরা। দীর্ঘ সময় সড়ক অবরোধ করার কারণে দুই দিকে শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে।
পরে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর সড়ক অবরোধমুক্ত করা হয়েছে।