জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ২৯ এপ্রিল : করিমগঞ্জ সরকারি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নন্দেশ্বর মুখার্জি আর নেই।
বৃহস্পতিবার রাত ৮. ৫৪ টায় করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। রেখে গেছেন স্ত্রী, দুই কন্যা, দুই পুত্রসহ অসংখ্য গুনমুগ্ধ।
এক কন্যা সম্প্রতি মারা যান। প্রয়াতের স্ত্রী গীতা মুখার্জি বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং করিমগঞ্জ সিডব্লুসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান।
এক কন্যা নন্দিনী মুখার্জি দক্ষিণ করিমগঞ্জ শিক্ষাখন্ডের বিইইও। শুক্রবার সকালে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ব্রজেন্দ্র রোডের শ্মশানে।
প্রয়াত নন্দেশ্বর মুখার্জির চাকরি জীবন শুরু হয় ধুবড়ি সরকারি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে সংস্কৃতের বিশেষ শিক্ষক হিসেবে শিক্ষক পদে যোগ দেন তিনি।
এরপর বদলি হয়ে করিমগঞ্জ সরকারি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় আসেন।
এখানে দীর্ঘ বছর বিষয় শিক্ষক হিসেবে কাজ করার পর প্রথমে উপাধ্যক্ষ এবং পরে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
এই বিদ্যালয় থেকেই অধ্যক্ষ হিসেবে চাকরি জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
অবসরের পর বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার সুবাদে সামাজিক কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
করিমগঞ্জের শিববাড়ি রোডে বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরী আশ্রম তার হাত দিয়ে নির্মিত হয়। তিনি ছিলেন এর অন্যতম উদ্যোক্তা।
এছাড়া সর্বধর্ম সমন্বয় সভার উপ-সভাপতি ছিলেন। দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ ছিলেন তিনি। প্যারালাইসিস হওয়ায় প্রায় গৃহবন্দী ছিলেন।
সম্প্রতি ফের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়, এনিয়ে চিকিৎসা চলছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হলে তিনটা নাগাদ অ্যাম্বুলেন্সে করে করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক গালিব আহমেদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলে, কিন্তু সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে রাত ৮.৫৪ টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই পরিচিতি মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। শোক প্রকাশ করেছেন করিমগঞ্জ সরকারি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শৈবালকান্তি দাস নন্দেশ্বর মুখার্জির প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।