শিলচর, আসাম : রাজ্য সরকারের সমস্ত বিভাগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর এবার স্কিল টেস্টে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বরাকের চাকরি প্রত্যাশীরা, এই গুরত্বর অভিযোগ এনেছে বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
যুব ফ্রন্টের মূখ্য আহ্বায়ক কল্পার্ণব গুপ্ত যেকোন নিয়োগের ‘ইন্টারভিউ বোর্ড’কে নিরপেক্ষ থাকার পরামর্শ দিয়ে আসামের নিয়োগের ইন্টারভিউ বোর্ডকে দস্তুর মতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেন যে, বরাকের প্রার্থী জানলেই দিশপুরের আধিকারিকরা বিভিন্ন হেনস্থা মুখে ঠেলে দিচ্ছেন।
তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদে বরাকের প্রার্থীদের নিযুক্তি দিতে হবে এই দাবি করে কল্পার্ণব বলেন বিডিএফ প্রথম থেকে এই ইস্যুতে আন্দোলন করে আসছে।
বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন, প্রথম পর্বের চল্লিশ হাজার নিয়োগে বরাক পেয়েছে মাত্র ১০৭ জন।
তিনি বলেন এক লাখ পদে জনসংখ্যার নিরিখে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদে বরাক উপত্যকা থেকে অন্তত ১৫০০০ প্রার্থী নিযুক্তি পাওয়ার কথা।
দত্তরায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী শিলচরে এসে বলেছেন যে বরাকের ২০ শতাংশ প্রার্থী প্রাথমিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন অথচ জেলাভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না কেন?
অন্যদিকে গৌহাটিতে ডেকে নিয়ে স্কিল টেস্টের নামে বরাকের যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করার অভিযোগ করেন বিডিএফ-এর মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায়।
তিনি আগামী ২৫ তারিখ কেন্দ্রীয় স্বরাস্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে যে ৫০০০০ হাজার নিযুক্তি দেওয়া হবে তাতে বরাকের প্রার্থীরা যাতে বঞ্চিত না হয় সেজন্য আগাম সতর্ক করেন এবং জেলা ভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশের দাবি জানান।
অন্যথায় এনিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেন বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট নেতা।
তিন মিনহাজ উদ্দিন আহমেদকে পাশে বসিয়ে বলেন, ডিরেকটরেট অব মেডিকেল এডুকেশন আয়োজিত ইলেকট্রিসিয়ান পদের লিখিত পরীক্ষায় ৯৬ শতাংশ নম্বর পাওয়া স্বত্ত্বেও স্কিল টেস্টে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়েছে।
মিনহাজও এদিন স্পষ্ট ভাষায় বলেন যে তিনি ও তার মতো যারা বঞ্চিত হয়েছেন সবাই চায় বরাকের পদে স্থানীয় ভাবে নিযুক্তি পরীক্ষা নেওয়া ও স্থানীয়দের নিযুক্তি দেওয়া হোক। অন্যথা এনিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে বিডিএফ এর সমর্থনে থাকবেন তাঁরা।