শালচাপড়া প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেত্বাধিন কেন্দ্রীয় সরকারের নয় বছর পূর্তি এবং লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শুক্রবার শালচাপড়া জিপিতে মাস ব্যাপী মহা জনসম্পর্ক অভিযানে নেমেছে বিজেপি।
লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এই মহা জনসম্পর্ক অভিযানে উপস্থিত ছিলেন শিলচরের সাংসদ ডঃ রাজদীপ রায়ও।
এই মহা-জনসম্পর্ক অভিযান প্রত্যেক জিপিতে চালিয়ে যাবে বিজেপি।
কিন্তু রাজদীপের উপস্থিতি নিয়ে শালচাপড়া বিজেপির অন্দর মহলে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
অনেককেই বলতে শোনা গেছে নিজের ব্যর্থতা এবং জনবিচ্ছিন্নতা ঢাকতেই কি সাংসদ এই মহা সম্পর্ক যাত্রায় উপস্থিত হয়েছেন?
রাজদীপ নিজের বক্তব্যে বিজেপি সরকারের আমলের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে আগামী নির্বাচনে বিজেপিকে আবার ভোট দিয়ে সরকার গঠনে জনগণকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
তাঁর এই আহ্বানে উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের একাংশের মধ্যে বিরোপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
দলীয় স্বার্থে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই সাংসদ রাজদীপকে রাজনিতিবিদ নয় একজন নিম্ন স্তরের ব্যবসায়ি হিসাবে তুলে ধরেন।
মহা জনসম্পর্ক অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজদীপের চার বছরের সাংসদের কার্যকালকে ফাটক বাজারের এক শ্রেনির ব্যবসায়ীর সঙ্গে বর্ণনা করেন।
বলেন, শোনেছি ফাটক বাজারে এমন কিছু ব্যবসায়ি আছেন যারা খদ্দেরদেরকে চা খাওয়ার কথা বলে মুখে হাক দিয়ে বলেন এক কাপ চা এবং হাতের ইশারায় আবার না করেন, রাজদীপও তাই।
২০১৯-এর ভোটে ভোটে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু কিছুই করেননি। কোন কাজে তাঁকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
এমনকি জনগণের কাজে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাড়িয়ে থাকতে হয়, চামচারা দেখা করতে দেয়নি।
বিজেপির হিন্দু-মুসলিম আবেগ আর উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির জন্য ২০১৯-এর নির্বাচনে বিজয়ী হলেও লাভবান হয়েছেন তিনি নিজে এবং মুসলিমদের মধ্যে একাংশ বলে জানান তারা।
তাদের প্রশ্ন কয়লা সিন্ডিকেট, চুনাপাথরের সিন্ডিকেট এবং বার্মিজ সুপারির সিন্ডিকেটের মুলে কারা রয়েছে?
শিলচরের সাংসদ রাজদীপ রায় যদি জড়িত না থাকেন তবে কি এগুলোর বিরুদ্ধে কোনদিন তিনি মুখ খুলেছেন?
মানুষ তাঁকে কাছাড়ের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য সাংসদ নির্বাচন করেছেন, কিন্তু তাঁর নীরবতা জড়িত থাকা বা ব্যর্থতা কি প্রমান করে না?
তাদের দাবি ২০২৪-এর নির্বাচনে যদি দল প্রার্থী বদল না করে তবে হারের মুখ দেখতে হবে। সাংসদ রাজদীপ রায়ের বিরুদ্ধে দলের অন্দর মহলে এভাবেই তুষের আগুন জ্বলছে।
তবে সাংসদ এদিন শালচাপড়া জিপির ঘাগরাপার এলাকার মাইনোরিটিদের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে আশ্বাস দেন তিনি শালচাপড়া মন্ডলে আরও কিছু প্রকল্পের অনুদান দেবেন। এদিন সাংসদ ডঃ রাজদীপ ছাড়াও ছিলেন শালচপড়া বিজেপি মন্ডলের সভাপতি পীযুষ কান্তি পাল, শিলচর ডেভলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান মঞ্জুল দেব, রাজ্যিক এস.সি মোর্চার সহ-সম্পাদক অমলেন্দু দাস, বড়খলা সমষ্টির সাংসদ প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ দাস, জয়কান্ত সিনহা, নির্মল দাস, সাহাজান আহমেদ লস্কর, আদিত্য গিরি সিনহা, দীপক দাস, সাদ্দিক আহমেদ লস্কর, শংকর শীল সহ অন্যান্যরা।