বিজেপির উন্নয়নের স্লোগান ডাহা মিথ্যা? মন্ত্রী পরিমলের ধলাই বিধানসভার গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে নি সরকারী সুযোগ সুবিধা

Spread the love

নিউজ ডেক্স, গণআওয়াজ : বিজেপির উন্নয়নের স্লোগান ডাহা মিথ্যে প্রমান করে দিচ্ছে দলের প্রার্থী পরিমল শুক্লবৈদ্যের ধলাই বিধানসভার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল।

রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ পানীয় জল সহ সরকারী কোন সুযোগসুবিধা আজও পৌছেনি শিলচর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী পরিমলের সমষ্টির অনেক গ্রামে।

দু’বারের মন্ত্রী শিলচর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী পরিমলকে দীর্ঘ আট বছরের মধ্যে জেলার কোথাও সাধারণ মানুষের শোক-দুঃখে পাশে দাঁড়াতে এমন কি খোঁজখবর নিতেও দেখা যায়নি।

তবে উন্নয়ন হয়েছে মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য এবং তার কিছু পোশ্যদের।

ছবি : মন্ত্রী পরিমলের বিশালাকার পিসারি।

এক সময়ের বেঞ্চার স্কুলের শিক্ষক ধলাইর বিধায়ক শিলচর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী পরিমল শুক্লবৈদ্য আজ শত শত কোটি টাকার সম্পদশালী হয়ে উঠেছেন।

শ্রমিকদের পেটে লাথি মেরে বাগানের হাজার হাজার বিঘা জমি নিজের নামে পাট্টা করে নিয়েছেন।

তার বিধানসভা সমষ্টির কোন শিক্ষিত বেকার চাকরী পাক আর না পাক, তাতে কিছু যায়-আসে না রাজ্যের মন্ত্রী বিজেপির এই প্রার্থীর।

একইভাবে বিভিন্ন দুর্নীতি সংঘটিত করে পরিমলের বেশ কিছু পুশ্য ব্যক্তি আজ কোটিপতি।

তিনি যখন বনমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় তার পোশ্য ভুষন পালের নেতৃত্বে মধুরা থেকে বনজ সম্পদ সাফাই অভিযান শুরু হয়েছিল।

চলছিল পুরো কাছাড় জেলায়।

ছবি : মধুরার শিব টিলা এলাকার, এভাবেই খনন করে তুলা হচ্ছে পাথর।

এই অভিযান আজও চলছে, তবে এবার ভূষণ পালের নেতৃত্বে নয়, বিজেপির কাছাড় জেলা সভাপতি বিমলেন্দু রায়ের নেতৃত্বে।

বিমলেন্দু চণ্ডীঘাট থেকে মাইনিং পারমিটে পাথর বিক্রির ঠিকা নিয়েছেন, কিন্তু এখানে কোন পাথরই নেই।

তাই পুরো মধুরাকে লুণ্ঠনের জন্য তিনি অফিস করেছেন নগরে।

শুধু তাই নয়, আগে একটি রাস্তায় পাথরের গাড়ী কোয়ারিতে যাওয়া-আসা করত, এখন আরও দুটি রাস্তা তৈরি করে দিনে রাতে তুলা হচ্ছে পাথর।

 জেসিবি, অক্লেন দিয়ে খনন করে বিশ ফুট-ত্রিশ ফুট মাটির গভীর থেকে টেনে তুলা হচ্ছে পাথর।

এতে এদিকে সরকারকে হারাতে হচ্ছে রাজস্ব, অন্যদিকে প্রকৃতি ভারসাম্য হারালে যে কোন সময় কাছাড় জেলা ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে।

কিন্তু কাছাড় বন বিভাগ এব্যাপারে পুরো পুরি চুপ।

ছবিঃ চণ্ডীঘাটের মাইনিং এলাকা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে এসব মেশিনারি ব্যবহার করে পাথর তুলছে বন মাফিয়ারা।

এক কথায় পরিমল শুক্লবৈদ্য বন মন্ত্রী হওয়ার পর কাছাড় বন বিভাগকে অকেজো করে রেখেছেন।

এদিকে মন্ত্রী পরিমলের বিধানসভা সমষ্টির রোজকান্দি বাগানের পার্শ্ববর্তী বিষ্ণুপুর এলাকার যে দৃশ্য ক্যামেরায় ধরা পড়েছে তাতে মন্ত্রী পরিমলের ব্যর্থতা এবং নিস্তুরতার চিত্র ফুটে উঠেছে। 

এলাকায় আজও রাস্তাঘাট, বিশুদ্ধ পানীয় জল, বিদ্যুৎ কোন কিছুই পৌছয়নি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অরুণোদয়, প্রধানমন্ত্রী আবাস এমনকি সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা তাদের ভাগ্যে জোটেনি।

অথচ পাশে রোজকান্দি বাগানের জমিতে রয়েছে পরমলের বিশালাকার পিসারি।

স্থানীয়দের জানানো মতে প্রায় হাজার বিঘার উপর মন্ত্রী পরিমল তৈরি করেছে এই বিশালাকার পিসারি।

ছবিঃ রোজকান্দি বান এলাকার বিষ্ণুপুর গ্রামের মানুষ তাদের বঞ্চনা এবং দুঃখের কথা বলছেন গণআওয়াজ-এর ক্যামেরার সামনে।

সূর্য অস্তমিত হওয়ার সাথে সাথে পুরো এলাকার অন্ধকারে ডুবে গেলেও তার পিসারিতে জ্বলছে বিদ্যুতের আলো।

অনেক দূর থেকে অস্থায়িভাবে বিদ্যুৎ এনে পুরো পিসারিকে আলোকিত করে রেখেছেন মন্ত্রী পরিমল।

এক কথায় অবৈধভাবে নিজের পিসারিতে বছরের পর বছর ধরে বিদ্যুর জ্বালিয়ে যাচ্ছেন।

বিভাগীয় কর্মকর্তাদের কার এমন আসপর্দা আছে পরিমলের পিসারির এই অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা নেবে?

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তাদের সঙ্গে মন্ত্রী পরিমল এবং সরকারের এই বৈমাতৃক আচরনের পেছে রয়েছে আগ্রাসী মনোভাব।

এক কথায় বলা যায় তাদেরকে উচ্ছেদ করে পুরো এলাকা কব্জা করার চক্রান্ত রয়েছে মন্ত্রী পরিমলের।

ছবিঃ পালংঘাট জিপির ডুগরু বস্তি (রুকনি তৃতীয় খন্ড) গ্রামের জনগণ এবার ভোট না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

অন্যদিকে পরিমলের খাস তালুক ধলাই বিধানসভা সমষ্টির একাধিক স্থানের উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত জনগণ ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন জনগণ।

গোপিনাথপুর, উত্তর শালহালা এমনকি পালংঘাট জিপির ডুগরু বস্তি (রুকনি তৃতীয় খন্ড) গ্রামের জনগণ এবার ভোট না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এরপরও কি মুখ্য মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলবেন রাজ্য দালাল মুক্ত? দুর্নীতি মুক্ত? উন্নয়ন হচ্ছে? 

Gana Awaz Desk

Avatar

create token < a href="https://capablemachining.com/">china cnc milling bep20 token create a usdc token create crypto token create a bep20 token create a token ethereum token stripe token create bnb token create token create a token token mint mint club token