কর্তব্য করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে নিহত কাছাড় জেলার বড়যাত্রাপুর পিএইচই কর্মী (জলমিত্র) পারভেজ হোসেন বড়ভূইয়ার পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকুরী প্রদানের দাবি জানিয়েছে সারা আসাম জলমিত্র কর্মচারী পরিষদ।
আজ হাইলাকান্দি জেলাশাকের মাধ্যমে অসমের মূখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের কয়েক দফা দাবি সম্বলিত একখানা স্মারকলিপি প্রেরণ করেন সারা আসাম জলমিত্র কর্মচারী পরিষদের কর্মকর্তারা।
জেলাশাসকের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে খাইরুল ইসলাম বলেন যে বর্তমানে অসমে একমাত্র জে জে এম এর কর্মী অর্থাৎ জলমিত্ররা স্বল্প বেতনের বিনিময়ে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে কর্তব্য পালন করে যাচ্ছেন।
সরকার মাত্র ৬৫০০ টাকা পারিতোষিক দিতেছে, কিন্তু সকাল ৭ টা থেকে রাত বারোটায়ও প্রয়োজনে নদীতে গিয়ে কর্তব্য পালন করতে হয় জলমিত্রদের।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের দূর্ঘটনায় অনেকের প্রাণ দিতে হয়।
গত ৮ জুলাই শিলচর ডিভিশনের অন্তর্গত বড়যাত্রাপুর জিপির খালরপার জল সরবরাহ প্রকল্পের কর্মচারী (জলমিত্র) পারভেজ হোসেন বড়ভূইয়া জল তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মারা যান।
পারভেজ হোসেনের এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে সরকারের কাছে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ সহ পারভেজের পরিবারে সরকারি একটি চাকুরী প্রদানের জন্য জোরালো দাবি জানান জলমিত্র কর্মচারী পরিষদের খাইরুল ইসলাম লস্কর।
তাছাড়া তাদের জলমিত্র কর্মচারী পরিষদের পক্ষ থেকে রাজিব পাল সরকারের কাছে তাদের বিভিন্ন দাবিগুলো তুলে ধরেন
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্থায়ী জলকর্মীদের চাকুরী নিয়মিত করা, সরকারের ঘোষণা করা এক লক্ষ নিয়োগের মধ্যে ১০-১৫ বছর ধরে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করা পিএইচইর কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করা, জরুরী কালিন ভাবে সকল জলমিত্রদের দূর্ঘটনার জীবন বীমা প্রদান, তাদের মাসিক ৬৫০০ টাকা পঞ্চায়েত বিভাগের পরিবর্তে জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের আওতায় আনা এবং মানবিকতার দৃষ্টিতে অসম সরকারের একজন নূন্যতম মাষ্টারোল কর্মচারির সমান মাসিক বেতন প্রদান করা ইত্যাদি।
এদিন জলমিত্র কর্মচারীরা তাদের দাবিগুলো পূরণের জন্য সরকারের প্রতি কাতর আর্জি জানান। উপস্থিত ছিলেন দিপঙ্কর দাশ, ডালিম আহমেদ চৌধুরী, জিয়াব উদ্দিন বড়ভূইয়া, নিদু নাথ ও দিলোয়ার হোসেন লস্কর প্রমুখ।