শিলচর : প্রকাশিত হলো কাব্যগ্রন্থ ‘ধুলো পৃথিবী তোরণ পেরিয়ে’। কবি ফরিদা পারভীন রুনি।
শিলচর গান্ধীবাগ পার্কে বর্ষায় সেজে ওঠা সবুজের বাহারি শোভার মধ্যে মুক্তমঞ্চে ১৬ জুলাই রবিবার দুপুরে প্রকাশিত হয় কাব্যগ্রন্থটি।
মোড়ক উন্মোচন করেন ঔপন্যাসিক আইনজীবী ইমাদ উদ্দিন বুলবুল।
সঙ্গে ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ রোড মহিলা সমিতির সম্পাদক বন্দনা আচার্য, ‘নতুন দিগন্ত প্রকাশনী’র স্বত্বাধিকারী মালতী দাস, পরিচালক মিতা দাস পুরকায়স্থ ও বইটির কবি ফরিদা পারভীন রুনি।
উন্মোচকের বক্তব্যে ইমাদ উদ্দিন বুলবুল বলেন, মহিলাদের পক্ষে ঘর-সন্তান-পারিবারিক ঝামেলা সামলে লেখালেখির মতো সৃজনশীল কাজে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় যখন তারা স্বামীর সহযোগিতা ও সমর্থন পান।
তিনি আরও বলেন, নতুন বই প্রকাশের পাশাপাশি রজনীগন্ধা ফুলের সুবাস যেন ছড়িয়ে পড়ে।
ফরিদা পারভীন তার বক্তব্যে বইটি প্রকাশের ব্যাপারে রচনা ছাড়া সম্পূর্ণ কৃতিত্ব মিতা দাস পুরকায়স্থের বলে জানান। উপন্যাস লেখার জন্য প্রয়োজনীয় সময় পাওয়া যাচ্ছে না বর্তমান ব্যস্ত সময়ে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বন্দনা আচার্য আবৃত্তি পরিবেশন করেন। স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন কবি সমর পাল, মৃদুলা ভট্টাচার্য । স্বাগত বক্তব্য ও অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কবি-সম্পাদক মিতা দাস পুরকায়স্থ।
সমাজকর্মী মিনারা বেগম মজুমদার দুপুরবেলায় দর্শক উপস্থিতি কম থাকায় বলেন কোনো সমস্যা নেই, একটা মাছ কিংবা তার এক টুকরো দিয়ে সুস্বাদু তরকারি হয়।
তবে অসংখ্য মাছ দিয়েও একটি মাছের পদ হয়, তাই এখানে উপস্থিতিটা সমস্যা নয় কী ঘটলো কত বড় ঘটনা সেটাই বিবেচ্য।
মেয়েরা নয় মাস প্রাক প্রসব কষ্ট পায় মাত্র, আর পুরুষরা বই প্রকাশ করার আরও অনেক আগে থেকে এর প্রস্তুতি নেয়।
নিজের রচনার দুই মলাটে মুক্তির আনন্দ সন্তান জন্ম দেওয়ার আনন্দ থেকে কোনো অংশে কম হয় না বললেন সমাজকর্মী মিনারা বেগম মজুমদার।
অনুষ্ঠানে স্বরচিত ছড়া পাঠ করেন অর্চনা দাস। সংগীত পরিবেশন করে আসর জমজমাট করে তুলেন কণ্ঠশিল্পী সমর দেব।
রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী স্বাগতা চক্রবর্তী উদ্বোধনী ও সমাপ্তি সংগীত পরিবেশন করেন। সদ্য প্রকাশিত বইটি থেকে ‘ধুলো পৃথিবীর তোরণ পেরিয়ে’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন মিতা দাস পুরকায়স্থ ।
উল্লেখ্য যে, কবি ফরিদা পারভীনের এই নিয়ে তৃতীয় গ্রন্থ প্রকাশ পেল।
গ্রন্থটির প্রকাশক ‘নতুন দিগন্ত প্রকাশনী’র ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সৃজনশীলতা ও শান্তি-সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে টবে রোপণ করা সুদৃশ্য ফুল-পাতাবাহারের চারা উপস্থিত প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
চারাগাছ-স্মারক উপহার তুলে দেন মালতী দাস ও ফরিদা পারভীন। অনুষ্ঠানে সদ্য প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থটি সংগ্রহ করার জন্য সকলের কাছে অনুরোধ করা হয় প্রকাশনীর পক্ষ থেকে। অনুষ্ঠানে সহযোগিতায় ছিলেন ‘সৃজন’ সংস্থার কর্মকর্তা দিগ্বিজয় মণ্ডল।