মালিগাঁও : উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের প্রোটেকশন ফোর্স (আরপিএফ) ২২-২৮ জুলাই, ২০২৩ পর্যন্ত সফল অভিযান চালিয়ে ১৭ জন পাচারকারীর হাত থেকে উদ্ধার করেছে।
এছাড়াও দুই মহিলা এবং অল্প বয়সী একটি ছেলে সহ আরও ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।আরপিএফ-এর এই অভিযানে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
আরপিএফ নর্থইষ্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন ট্রেন এবং রেলস্টেশনে চেকিং এবং ড্রাইভ পরিচালনা করার সময় এই সফলতা অর্জন করে।
উদ্ধারকৃত ব্যক্তিদের যথাযথ কর্তৃপক্ষ যেমন চাইল্ড লাইন-এনজিও, পিতামাতা বা গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশের (জিআরপি) কাছে কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে জানিয়েছে এনএফআর সূত্র।
এনএফআর-এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, কিষাণগঞ্জের বচপন বাঁচাও আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সাথে আরপিএফ ২৪ জুলাই কিশানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করার জন্য সহযোগিতা করেছে।
এই অভিযানে তিন শিশু পাচারকারীকে আটক করা হয় এবং তিনজন নাবালককে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত নাবালকসহ পাচারকারীদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য কিষাণগঞ্জের জিআরপি অফিসার ইনচার্জের (ওসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরেকটি সাম্প্রতিক ঘটনায় ২৭শে জুলাই গুয়াহাটির আরপিএফ মেরি সহেলি দল গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনের সময় একজন পলাতক মহিলাকে উদ্ধার করেছে।
উদ্ধার হওয়া মহিলাকে গুয়াহাটির শক্তি সদরের সুপারিনটেনডেন্টের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
একই দিনে গুয়াহাটির আরপিএফ এবং মেরি সহেলি দলের যৌথ প্রচেষ্টায় রেলওয়ে চাইল্ড লাইন গুয়াহাটি রেলস্টেশনে দুই পলাতক নাবালক ছেলেকে উদ্ধার করে।
এই নাবালকদের রেলওয়ে চাইল্ড লাইন গুয়াহাটির দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
এনএফআর অনুসারে, আরপিএফ এবছরের জুন মাসে ১১ জন মহিলা সহ ৬৯ জন নাবালক ছেলে ও মেয়েকে উদ্ধার করেছে এবং এই সময়ের মধ্যে একজন মানব পাচারকারীকেও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
মেরি সহেলি দলটি চব্বিশ ঘন্টা কাজ করে যাত্রীদের সচেতনতা এবং নির্দেশিকা প্রদান করে এবং জরুরী পরিস্থিতিতে হেল্পলাইন নম্বর ১৩৯-এর ব্যবহারকেও প্রচার করে। আরপিএফ মানব পাচারের সাথে জড়িত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের শনাক্ত করার পাশাপাশি অভিভাবক ছাড়া ভ্রমণকারী শিশুদের গতিবিধিরও সজাগ থাকে।