হিবজুর রাহমান বড়ভূইয়া : বিষপান করিয়ে গৃহবধূ খুনের অভিযোগ শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। থানায় মামলা করেও ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না রাতাবাড়ির আকবর আলি।
তিন-চার বছর আগে অসহায় গরীব পিতা আকবর আলি নিজের কন্যা সীতারা বেগমকে সামাজিক ভাবে বিয়ে দিয়েছিলেন রাতাবাড়ি মুলিয়ালা গ্রামে।
বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই জামাতা এমরান উদ্দিন, শ্বশুর আসাব উদ্দিন ও শ্বাশুড়ি মিনু বেগম সীতারার উপর অকথ্য নির্যাতন শুরু করেন।
বিষয়টি নিয়ে মুলিয়ালা ও লালছড়া গ্রামের বিশিষ্ট জনেরা বারবার বিচার সভার আয়োজন করেন।
এভাবেই নির্যাতনের মধ্য দিয়ে সীতারার সংসারে চলে আসে একটি ফুটফুটে সন্তান। কিন্ত নির্যাতন কমেনি বরং আরো দ্বিগুণ হারে বাড়ে।
ফলে বাধ্য হয়ে আকবর আলি নিজের মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
সতেরো আগস্ট আসাব উদ্দিন আর কোনদিন এভাবে নির্যাতন করা হবেনা বলে সীতারাকে নিয়ে তার শশুর বাড়ী থেকে নিয়ে যায়।
কিন্তু পরের দিন ১৮আগষ্ট বিষপান করিয়ে সীতারাকে হত্যা করা হয়।
সীতারা নিজেই পুলিশ ও আত্মীয় স্বজনদের কাছে শ্বশুর শ্বাশুড়ি বিষপান করিয়েছেন জানিয়েছে বলে আকবর সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন।
এরপর প্রায় এক সপ্তাহ অনেক কষ্ট যাতনা সহ্য করে সীতারা মারা গেলেও শ্বশুর বাড়ির কোন লোক নূন্যতম খোঁজ পর্যন্ত নেননি।
২৪ আগস্ট সীতারা মারা যাওয়ার পর রাতাবাড়ি থানায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে খুনের মামলা দায়ের করলে পুলিশ এখন পর্যন্ত একজন অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করার কোন উদ্যোগ নেয়নি।
উল্টে ৫-৬লক্ষ টাকায় বিষয়টি মীমাংসার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান আকবর। তাই তিনি ন্যায় বিচারের জন্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।