জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ৮ সেপ্টেম্বর : গত কয়েক দিনের তীব্র দাবদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই।
গরমে অসুস্থ হয়ে করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকে। বিদ্যালয়ে গিয়ে গরমে অসুস্থ হওয়ায় একাধিক ছাত্রীকেও বৃহস্পতিবার সরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
অন্যদিকে, বাজারে এসে অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় এক বৃদ্ধকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসেন কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশ।
তাপমাত্রা এতই বেশি যে, বিশেষ কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না জনগণ।
গত কয়েকদিনের মতো বৃহস্পতিবারও তাপমাত্রা অনেক ছিল। এদিন সকালে বাজার করতে ছন্তরবাজারে আসেন ব্রজেন্দ্র রোডের বাসিন্দা এক বৃদ্ধ।
বাজার ছেড়ে জাতীয় সড়কে উঠার পর হঠাৎ মাথা ঘুরে নিচে পড়ে যান তিনি, সঙ্গে সঙ্গে ভিড় জমে।
তখন ছন্তরবাজার ট্রাফিক পয়েন্টে কর্তব্যরত ছিলেন ট্রাফিক পুলিশ কর্মী রাধামাধব চ্যাটার্জি। বিষয়টি তার নজরে পড়ায় বৃদ্ধের পাশে ছুটে আসেন তিনি।
ওই সময় এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন সদর থানার ওসি ভবেশ ডিহিঙ্গিয়া, মানবিকতার খাতিরে ওসির পরামর্শে একটি গাড়িতে করে সিভিল হাসপাতালে বৃদ্ধকে নিয়ে আসেন ট্রাফিক পুলিশ কর্মী।
এমনকি গাড়ি চালকের সহযোগিতায় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসককে দেখিয়ে ত্রিতল ভবনে অসুস্থ বৃদ্ধকে নিয়ে উঠেন তিনি।
পরে বৃদ্ধের সঙ্গে থাকা মোবাইল থেকে ফোন নাম্বার নিয়ে নিজের মোবাইল থেকে বৃদ্ধের পরিচিত জনদের ফোন করেন।
হাসপাতালে সামনে যাকেই পেয়েছেন অসুস্থ বৃদ্ধের বাড়ির ঠিকানা জানার চেষ্টা করেছেন। শেষমেষ খোঁজ পান বৃদ্ধের কন্যার।
পরে হাসপাতালে ছুটে আসেন বৃদ্ধের পুত্র এবং কন্যা।
মানবিকতার খাতিরে হঠাৎ করে অসুস্থ বৃদ্ধের সাহায্যে ট্রাফিক পুলিশের এগিয়ে আসা এবং হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসক দেখিয়ে ভর্তি করানোর ঘটনায় বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছেন ট্রাফিক পুলিশ কর্মী।