ব্যুরো রিপোর্ট, হাইলাকান্দি : টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ কান্ডে মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে হাইলাকান্দিতে।
গলায় ডেগার ধরে দিনদুপুরে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনে নুর আহমদ মজুমদার আদালতে এক মামলা দায়ের করেছিলেন।
এবার তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে পালটা মামলা করে সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুললেন আব্দুল মন্নাফ মজুমদার সহ অন্যান্যরা।
তবে ঘটনার আসল রহস্য এখনও স্পষ্ট নয়।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে বলে জানা গেছে। সকলেই আশাবাদী পুলিশি তদন্তে অবশ্য ঘটনার আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
আব্দুল মন্নাফ মজুমদারের পালটা মামলার বিবরণে জানাগেছে, বড়হাইলাকান্দি প্রথম খণ্ড গ্ৰামের বাসিন্দা নুর আহমদ তাকে ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার হাইলাকান্দি শাখা থেকে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি কেসিসি লোন পাইয়ে দিয়েছেন।
এই লোন পরিশোধের কিস্তি হিসাবে তিনি নুর আহমদকে পাঁচ হাজার এবং চার হাজার টাকা দু’বারে নয় হাজার টাকা।
কিন্তু আব্দুল মন্নাফ গত ১৫ সেপ্টেম্বর রসিদ হাতে নিয়ে ইউনিয়ন ব্যঙ্কের হাইলাকান্দি শাখায় গিয়ে উপস্থিত হলে ধরা পড়ে আসল রহস্য।
দেখা যায় তার একাউন্টে লোন পরিশোধের কিস্তির পাঁচ হাজার এবং চার হাজার টাকার পরিবর্তে জমা হয়েছে মাত্র ৫০ ও ৪০ টাকা।
কিন্তু তাকে চার হাজার এবং পাঁচ হাজার টাকার ভূয়ো রসিদ দেওয়া বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে তিনি ব্যাঙ্কের শাখা ম্যানেজারের কাছে নালিশ জানান এবং লিখিত অভিযোগ করেন।
পরে তিনি এবিষয়ে সুবিচার চেয়ে নুর আহমদকে অভিযুক্ত করে হাইলাকান্দি সদর থানায় একটি মামলাও দায়ের করেন।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্তে নেমেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা বড়হাইলাকান্দি এলাকাজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার বড়হাইলাকান্দি গ্ৰামরক্ষী বাহিনীর সম্পাদক নইম উদ্দিন মজুমদার, সমুল হক মজুমদার, রাইজর দলের আঞ্চলিক কমিটির সহ সভাপতি দিলওয়ার হোসেন মজুমদার, সম্পাদক মিরাজুল হক মজুমদার, আবু সুফিয়ান মজুমদার, স্থানীয় মসজিদের সভাপতি কামরুল হোসেন মজুমদার সহ এলাকার অর্ধশতাধিক মানুষ রাস্তায় জড়ো হয়ে নুর আহমদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করেন।
তারা জানান, ওই ব্যক্তি এর আগেও এ ধরনের অনেক প্রতারনা কাণ্ড সংগঠিত করেছে। তারা ঘটনাটির সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্ৰহনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবি জানান।