বক্সনগর প্রতিনিধি : বক্সনগর যুব মোর্চার সভাপতি জিমুল হকের বিরুদ্ধে বিদেশে থাকা ব্যক্তির বউকে নিয়ে টপাটপের অভিযোগে ত্রিপুরা বিজেপি রাজনীতিতে তুলফাড় শুরু করেছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত বক্সনগরের বিজেপির এই যুব নেতা জিমুল হক চার বছর ধরে একই এলাকার বাসিন্দা সৌদি আরবে কর্মরত আজিদ আলির স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।
জিমুল গ্রামের প্রধান এবং বক্সনগরের যুব মোর্চার সভাপতি।
মাস কয়েক আগে সৌদি আরব থেকে বাড়িতে এসে আজিদ নিজের চোখেই জিমুল এবং তার স্ত্রী মিনুয়ারা বেগমের এই কুকীর্তি দেখতে পায়।
বিজেপির প্রধান এবং মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় জিমুলকে তিনি কিছুই বলতে পারেননি। কারন বাইক বাহিনী নিয়ে আক্রমন চালাতে পারে।
কিন্তু জিমুলের বাড় বাড়ন্তে বেশি দিন আর চুপ করে থাকতে পারেনি আজিদ। অতিষ্ঠ হয়ে মেম্বার, উপপ্রধান থেকে শুরু করে বিধায়ক পর্যন্ত তিনি নালিশ করেন।
কিন্তু কারোর কোনো হেলদোল দেখতে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের দারস্থ হন।
এদিকে জানা গেছে, জিমূল তার বোন রহিমা খাতুনকে দিয়ে আজিদের পরিবারকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
রহিমা, সোনামুড়া এসডিএম পান্না আহম্মেদকে “বলি কা বকরা” বানিয়ে অবৈধ সম্পর্কের নাম দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাফিজ করে এবং জেলে পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিল।
এই সেই রহিমা। কথায় আছে বানর বুড়ো হলেও গাছে ওঠা ভুলে না।
বোন যেমন ভাইও তেমন, একজন থেকে আরেকজন ডিগ্রি প্রাপ্ত।
প্রশ্ন উঠেছে এ কেমন বোন? যে ভাইকে অবৈধ সম্পর্ক করার ক্ষেত্রে সহায়তা করে।
গণআওয়াজ-এর হাতে এমন একটি চঞ্চল্যকর একটি বিডিও পৌঁছেছে, যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে রহিমা তার দল বল নিয়ে আজিদকে নিজের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে এবং হুঁশিয়ারিও দেয়।
আজিদ এ ঘোটনার পর জিমূলের বোন রহিমার নামেই কলমচৌড়া থানায় মামলা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন প্রধানের নামেও কেইস করতে পিছু হাটবেন না।
আজিদ জানিয়েছেন, স্ত্রীর ফষ্টি নষ্টিতে অতিষ্ঠ হয়ে একদিন তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ভেঙে দিয়েছিলেন, কিন্তু জিমুল সঙ্গে সঙ্গে নতুন মোবাইল কিনে বোনের মাধ্যমে তার অবৈধ প্রেমিকাকে পাঠিয়ে দেয়।
আজিদের ৮ বছরের মেয়েও জানিয়েছে, বিজেপির এই যুব নেতা প্রায়ই গভীর রাতে তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসে।
আরও জানাগেছে, নিজের স্বামীর পর স্ত্রীর সঙ্গে কুকির্তীর কথা জানতে পেরে জিমূলের স্ত্রী বিষ পান করে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছিল।
বিজেপি যুব নেতার এসব কুকির্তী প্রকাশ্যে আসার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, দল কি এমন চরিত্রহীন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে? না পবিত্র বিধানসভায় বসে দলের বিধায়কের “অশ্লীল” ভিডিও দেখার ঘটনার মতো চুপ থাকবে?