ব্যুরো রিপোর্ট, গণআওয়াজ : কাঠিগড়া সাব রেজিস্ট্রার অফিসের দালালরাজে বেকায়দায় পড়েছেন লাইসেন্স প্রাপ্ত মহুরিরা।
বার বার এসব ভূ-মাফিয়া ও দালালদের বিরুদ্ধে খবর প্রকাশের পরও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
এদের মধ্যে হিবরুল ইসলাম মাঝারভূঁইয়া, রুহুল আমিন এবং অবসরপ্রাপ্ত বড়বাবু সন্তোষ কুমার দাসের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন লাইসেন্স প্রাপ্ত মহুরিরা সহ জনগণ।
জমি ক্রয়-বিক্রয়ের নামে ক্ষমতা জাহির করে অবৈধ উৎকোচ আদায় করার প্রমাণ সহ এই অভিযোগ এনেছেন কাটিগড়া সাবরেজিস্ট্রার অফিসের লাইসেন্স প্রাপ্ত মহুরি খলিলুর রহমান চৌধুরী।
তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নির্দেশে সমগ্ৰ আসামের ভূ-মাফিয়া অবৈধ দালালদের গ্ৰেফতার করা হয়।
সেই সময় হিবরুলকে কাটিগড়া পুলিশ গ্ৰেফতার করে এবং দুই-তিন মাস শিলচর সেন্ট্রাল জেলেও ছিল সে।
কিন্তু আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে হিবরুল এখন পুনরায় কাটিগড়া সাবরেজিস্ট্রার অফিসে অবৈধ দালালরাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এমন কি হিবরুলের এই দালালরাজে সরকারী লাইসেন্স প্রাপ্ত মহুরিবরা সক্রিয়ভাবে দলিল লেখার কাজ করতে পারছেন না।
এছাড়াও কাটিগড়া অঞ্চলে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের দুর্ণীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এসব জানার পর কিসের ভিত্তিতে তাকে দলিল লেখক হিসেবে অনুমতি দেওয়া হল এনিয়েও প্রশ্ন তুলছেন সরকারী লাইসেন্স প্রাপ্ত মহুরিরা।
তারা আইনি তদন্তের মাধ্যমে কাঠিগড়া সাবরেজিস্ট্রার অফিসের রুহুল আমিন ও হিবরুল ইসলাম মাঝারভূঁইয়াকে দলিল লেখার লাইসেন্স বাতিলের দাবী জানিয়েছেন।
আর না কাটিগড়ার জনগণ বৃহত্তর গণ আন্দোলনের দিকে অগ্রসর হবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন মহুরি খলিলুর রহমান চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
মহুরি খলিলুর আশঙ্কা প্রকাশ করে গণআওয়াজকে বলেছন, কাটিগড়া সাবরেজিস্ট্রার অফিসের দুর্ণীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাকে হেনস্থা করা হতে পারে। যদি এরকম কোন কিছু তার সঙ্গে ঘটে এরজন্য হিবরুল ইসলাম মাঝারভূঁইয়া, সন্তোষ কুমার দাস ও রুহুল আমিনরা দায়ি থাকবেন বলে জানান তিনি।