সরকারী কোষাগারের এক বৃহৎ অংশের টাকা যাচ্ছে আমলাদের পকেটে
ব্যুরো রিপোর্ট, গণআওয়াজ জয়পুর : জয়পুর চিরি নদীর পাথর কোয়ারিতে বনবিভাগ এবং বন মাফিয়াদের সহযোগে চলছে অমুল্য বনজ সম্পদ লুণ্ঠন।
কোন মহালদার না থাকায়, বন বিভাগের তদারকিতে চলছে এই কোয়ারি।
একমাত্র সরকারী কাজের জন্য পারমিটেই পাথর তুলার ছাড়পত্র রয়েছে কোয়ারিতে।
কিন্তু তার সুযোগ নিয়েই বন মাফিয়াদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বন বিভাগ চালাচ্ছে এই অমুল্য বনজ সম্পদ লুণ্ঠন।
কোয়ারি থেকে বছরে কত সিএম পাথর তুলার অনুমতি রয়েছে, তাও সঠিক করে বলতে পারেননি জয়পুরের বীট অফিসার বা লক্ষীপুর বন উপ-সংমণ্ডলের আধিকারিক এবং কর্মীরা।
অথচ প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক দুই টিভ, তিন টিভ এমনকি চার টিভ করেও এই কোয়ারি থেকে পাথর টানছে।
প্রতিটি ট্রাক দশ থেকে ১৪ সিএম করে পাথর টানছে।
কিন্তু সরকারী পারমিটে একটি ট্রাকের, মাত্র ৮ সিএম করে পাথর টানর অনুমতি রয়েছে।
এখানেও সরকারী কোষাগারের এক বৃহৎ অংশের টাকা তাদের পকেটে যাচ্ছে।
এরমধ্যে নাম্বার বিহীন ট্রাকও রয়েছে, যেগুলোর হিসাব সরকারের খাতায় নেই। বন বিভাগের নাকের ডগা দিয়ে এসব ট্রাক পাথর নিয়ে যাচ্ছে।
শ্রমিকদের পেটে-ভাতে মারতে জেসিভি লাগিয়ে খনন করে তুলা হচ্ছে পাথর।
প্রতিদিন এভাবে লাখ লাখ টাকার পাথর লুণ্ঠন করছে, কাছাড়ের বন বিভাগ এবং বন মাফিয়ারা।
এব্যাপারে বীট অফিস এবং বন উপ-সংমণ্ডলের আধিকারিক ও কর্মীরাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিবৃতি দাবী করলে ক্যামেরার সামনে এসে মুখ দেখাতে তারা লজ্জা পান।
এমনকি এপ্রতিবেদককে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করারও চেস্টা করে বীট অফিসের এক সরকারী কর্মী।
বন উপ-সংমণ্ডল আধিকারিককে জয়পুর পাথর কোয়ারির বিস্তারিত জানতে চেয়ে ক্যামেরা তাক করতেই তিনি স্পষ্ট জানান, অন ক্যামেরায় কোন কথা বলবেন না।
পরে অফ ক্যামেরায় জানান, তার দায়িত্ব নেওয়ার পর অনেকটাই কন্ট্রোল করা হয়েছে।
স্টাফ বলছেন চল্লিশ হাজার সি এম পাথর তুলার অনুমতি রয়েছে, অন্যদিকে বীট অফিসার স্টাফের ফোনে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ষাট হাজার সি এম-এর মত।
সঠিক করে বলতে পারেন নি।
এভাবেই বন মাফিয়াদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জয়পুর চিরি কোয়ারি থেকে বন কর্মীরা চালাচ্ছে অমুল্য বনজ সম্পদ লুণ্ঠন।
এক্ষেত্রে সরকারের ভুমিকা নিধিরাম সরকারের মত। এর পরেই তুলে ধরা হবে মধুরা নীচ কোয়ারি ও উপর কোয়ারি, নগর, ঠালিগ্রাম, সাহেবের ঘাট, চণ্ডীঘাট কোয়ারি সম্পর্কে বিস্তারিত।