রেওয়াড়ি : একসময় মুখ্যমন্ত্রী পদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী যোগী বালকনাথকে মন্ত্রী সভায় স্থান দেননি ভজনলাল।
১৫ ডিসেম্বর ভজনলাল শর্মা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন, উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন দিয়া কুমারী ও প্রেমচাঁদ বৈরওয়া।
এখানেও মহন্ত বলকনাথের নাম আসেনি।
এরপর ধারনা করা হয়েছিল মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হবেন।
কিন্তু ১২ জন বিধায়ককে শনিবার মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হলেও বলকনাথের স্থান হয়নি।
শনিবার এই ১২ জন বিধায়ককে মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত করার পর ভজনলালের মন্ত্রীসভায় মোট ২২ জন বিধায়ক মন্ত্রী হয়েছেন।
ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে প্রথম শপথ নেন কিরোরি লাল মীনা।
এরপর শপথ নেন রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর, গজেন্দ্র সিং খিনভসার, বাবুলাল খারাডি, মদন দিলাওয়ার, জোগারাম প্যাটেল, সুরেশ সিং রাওয়াত, অবিনাশ গেহলট, জোররাম কুমাওয়াত, হেমন্ত মীনা, কানহাইয়া লাল চৌধুরী এবং সুমিত গোদারা।
তবে মহন্ত বলকনাথের সমর্থকরা মনে করছেন, লোকসভা নির্বাচনের পর বড় দায়িত্ব পেতে পারেন বলকনাথ।
রাজস্থানের মানুষ তার সনাতনীকে খুব পছন্দ করেন।
এছাড়াও ইউপির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বাবা বালকনাথকে লবিং করেছিলেন।
বাবা বালকনাথকে বিধানসভা নির্বাচনে রাজস্থানের তিজারা বিধানসভা আসন থেকে প্রার্থী করেন।
এর আগে বিজেপির খুব কম বিধায়ক এই আসন থেকে জয়ী হতে পেরেছেন।
উল্লেখ্য যে বালকনাথ তিজারা আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী ইমরান খানকে ৬,১৭৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বিধায়ক নির্বাচিত হন।
৩৯ বছরের তরুণ এই বিধায়ক গত লোকসভা নির্বাচনে আলওয়ার থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বিজেপি হাইকমান্ডের অনুরোধে তিনি বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন।
কে মহন্ত বালকনাথ? বাবা মস্তনাথ মঠ নাথ সম্প্রদায়ের একটি বড় কেন্দ্র।
রাজনীতিতেও এই মঠের ব্যাপক সম্পৃক্ততা রয়েছে, বাবা বলকনাথ মঠের তৃতীয় মহন্ত তিনি।
২০১৯ সালে আলওয়ার লোকসভা থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন।
এমনকি লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময়ও তিনি জনসাধারণের মধ্যে সনাতন এবং জাতীয়তাবাদের কথা বলেছিলেন। তিনি যখনই সংসদে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন, নিজ এলাকার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।