দুর্ণীতি করে কয়েকজন ইডি, সিবিআই ও সিএম ভিজিলেন্সের ভয়ে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন!
হাইলাকান্দি প্রতিনিধি, গণআওয়াজ : হাইলাকান্দি কংগ্রেস অনেক শক্তিশালী, জোরদার ভাবে চলছে সাংগঠনিক কাজকর্ম বললেন সদ্য কংগ্রেস দলে যোগ দেয়া সোনাইর প্রাক্তন বিধায়ক আমিনুল হক লস্কর।
বুধবার হাইলাকান্দি কংগ্রেস ভবনে আমিনুলের নেতৃত্বে লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে প্রবীণ কংগ্রেসীদেরকে নিয়ে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি স্ট্রিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জেলা কংগ্রেস, যুব কংগ্রেস সহ দলের বিভিন্ন সেলের সঙ্গে মিলে এই স্ট্রিয়ারিং কমিটি কাজ করে যাবে।
বর্তমানে হাইলাকান্দি কংগ্রেসে কোন ধরনের মতবিরোধ বা বিশৃঙ্খলা নেই, দল বিরোধী কার্যকলাপের কারণে যুব কংগ্রেস সভাপতি সহ মহিলা কংগ্রেসের কয়েকজনকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
কংগ্রেস একটি বিশাল দল এখান থেকে দুই একজনকে বহিস্কার করলে দলের কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক আমিনুল হক লস্কর।
কংগ্রেস দলের যেসব নেতারা বিভিন্ন ধরনের দুর্ণীতি করেছেন, তারা ইডি, সিবিআই ও সিএম ভিজিলেন্সের ভয়ে শাসক দল বিজেপিকে সমর্থন করেছেন।
কিন্তু কেউ কংগ্রেস দলকে খারাপ পেয়ে চলে যাননি বলে জানান তিনি।
প্রাক্তন বিজেপি নেতা আমিনুল হক লস্কর আরও বলেন দেশজুড়ে এবার কংগ্রেস দল শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
অসমের ৭টি আসনে এবার খেলা হবে এবং কংগ্রেস নিশ্চিত জয়ী হবে বলেন আমিনুল।
করিমগঞ্জে আড়াই লাখ ভোটের ব্যবধানে কংগ্রেস প্রার্থী হাফিজ রশিদ আহমদ চৌধুরী বিজয়ী হবেন বলে দৃঢ়তার সহিত বললেন তিনি।
আমিনুল বলেন, করিমগঞ্জ আসনে কংগ্রেস বনাম বিজেপির লড়াই হবে, এখানে এআইইউডিএফ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারবেন না।
কারণ আজমল সাহেব এআইইউডিএফের করুন অবস্থা দেখেই কে এম বাহারুল ইসলামকে টিকিট না দিয়ে এই প্রার্থীকে দিয়েছেন।
আজমল জেতার জন্য প্রার্থী দেননি, তিনি ভোট কাটিং করার জন্য দিয়েছেন।
আর এবার করিমগঞ্জ আসনের কংগ্রেস প্রার্থী হাফিজ রশিদ আহমদ চৌধুরীকে হিন্দু-মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান, শিখ ইসায়ী সহ প্রত্যোক সম্প্রদায়ের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিবেন।
এদিকে বরাকের মাইমাল জনগোষ্ঠীর কিছু লোক বিজেপিকে সমর্থন করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেছে, কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দিবেন দাবী করেন আমিনুল।