আব্দুর রহমান, নিলামবাজার : টাকা দিয়েও নিলামবাজার জিপিতে প্রকৃত হিতাধিকারিরা প্রধানমন্ত্রী আবাস পাচ্ছেন না।
অথচ বিভাগীয় জিআরএস আবিদুর রহমান ও প্রাক্তন গ্রুপ সদস্যদের মেনেজ করে বিত্তশালীরা একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী আবাস পাচ্ছেন।
নিলামবাজার জিপির জিআরএস আবিদুর রহমান এবং গ্রুপ সদস্যার প্রতিনিধি কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
গরীব ভুক্তভোগী জনগণ অভিযোগ করে বলেন, সরকার পঞ্চায়েতরাজ ভেঙ্গে দেওয়ার পর সরকারি আমলারা নিলামবাজার জিপি অফিসকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন।
জিপির দশ নম্বর ওয়ার্ডের লোয়ারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা অহিদ উদ্দিন বলেন, তিনি কুঁড়েঘরে বাস করছেন, তাঁর পুর্বপুরুষরাও কাছা ঘরেই জীবন কাটিয়েছেন।
তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি সরকারি আবাসের, কিন্তু বাস্তবে পরিনত হয়েনি।
কয়েক মাস পুর্বে সরকারি ঘরের জন্য তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, সেই সময় তারা জানান সরকার পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছে।
তাই একমাত্র সরকারি আমলারাই ঘর দিতে পারেন, এরপর তিনি জিপির জিআরএস আবিদুর রহমানের দারস্ত হলে তাঁর কাছে নাকি অগ্রিম কুড়ি হাজার টাকা দাবি করা হয়।
ঘর পাওয়ার আশায় হতদরিদ্র অহিদ উদ্দিন সুদে টাকা এনে বিভাগীয় এই আমলার হাতে ছয় হাজার টাকা তুলে দেন।
বাকি চৌদ্দ হাজার টাকা পর্যায়ক্রমে দিবেন বলেছিলেন, কিন্তু টাকা দেওয়ার পরও তাঁর ভাগ্যে ঘর মিলেনি।
দির্ঘদিন অপেক্ষার পর সাম্প্রতিক বন্যায় তাঁর কাচা ঘর অত্যন্ত বেহাল হয়ে পড়েছে।
এই অবস্থায় ফের জিআরএসের কাছে গেলে তিনি বাকী চৌদ্দ হাজার টাকা এবং ওয়ার্ড সদস্যার প্রতিনিধি কামাল উদ্দিনকে আরও দুহাজার টাকা দিতে বলেন।
নিরুপায় অহিদ বাধ্য হয়ে এক হাজার টাকা কামাল উদ্দিনকে দেন, কিন্তু এরপরও ঘর মিলেনি।
তাঁর অভিযোগ নিলামবাজার জিপিতে গরীব জনসাধারণকে বঞ্চিত করে মোটা টাকার বিনিময়ে বিত্তশালীদেরকে সরকারী ঘর দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া এমনও রয়েছে টাকার বিনিময়ে একাদিকবার প্রধানমন্ত্রী আবাস পাচ্ছেন। এদিকে জিপির প্রাক্তন সভাপতি আবু তালহা চৌধুরীর জানিয়েছেন, পিএমওয়াই লিষ্টের দুই নম্বরে অহিদ উদ্দিনের নাম রয়েছ।