নিউজ ডেক্স, গণআওয়াজ : এবার মিরজাফরের ভুমিকায় উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ!
দুর্নীতি চাপা দিতে সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের এই বিধায়ক নিজের দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি দলে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
এরপর তাঁর সতীর্থ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সুরে সুর মিলিয়ে তাঁকে হিন্দুত্বের জিগিরও তুলতে দেখা যায়।
কিন্তু, এটা যে আসলে তাঁর হিন্দুদের ঠকানোর উদ্দেশ্যে ছিল তা সাম্প্রতিক বাংলাদেশের ঘটনা পর্বে মুখ ফসকে বেরিয়ে আসা বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে যায়।
বিধায়ক বাংলাদেশের ছাত্রদের কোঠা আন্দোলন এবং সে দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নেমে আসা নির্যাতন ও লুটপাটের ঘটনায় মোটেই উদ্বিগ্ন নয়।
তবে তিনি উদ্বিগ্ন সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে হিন্দুদের পরবর্তী আন্দোলনে।
কমলাক্ষ, বাংলাদেশের ঘটনায় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার দেখতে পাননি, তিনি সনাতন ধর্মে চুরিচামারি দেখতে পেয়েছেন।
অথচ রাজ্যের সমষ্টি পুনঃনির্ধারণে পর হারের ভয়ে উত্তর করিমগঞ্জ ছেড়ে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে হিন্দু ভোটার গরিষ্ঠ কাটিগড়া থেকে বিজেপির টিকিতে পুনরায় বিধায়ক হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
এধরণের হিন্দু বিদ্বেষী বিশ্বাস ঘাতক কমলাক্ষকে কি বিজেপি ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে হিন্দুদের বিশ্বাসে আঘাত করবে? এছাড়া কাটিগড়ার ভোটাররাও কি চাইবেন কমলাক্ষের মত এরকম একজন বিশ্বাস ঘাতক তাদের প্রতিনিধিত্ব করোক? এটাই এখন লক্ষ টাকার প্রশ্ন।