হিবজুর রাহমান বড়ভূইয়া : চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে মৃত্যু হল ষোল বছরের এক নাবালিকার।
এই অভিযোগ কন্যাহারা পিতা শিলচর মেহেরপুরের ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল স্কুলের পরিচালক রানা লস্করের।
তার এই অভিযোগ ডাঃ এ.এন.এম মাসরুর আহমেদ ও ডাঃ সাদিক আহমেদের বিরুদ্ধে।
তিনি জানান, তাঁর কন্যা জেসলিন রানা সরলা-বিড়লা স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে হঠাৎ জেসলিনের পেটের ব্যথা শুরু হয়, যন্ত্রণায় রীতিমত চিৎকার শুরু করে।
এমতাবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ডাঃ সাদিক আহমেদের প্রাইভেট চেম্বারে, কিন্তু তিনি নিজে চিকিৎসা না করে অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে কিছু ঔষধ এবং ব্যাথার ইনজেকশন দিয়ে ছেড়ে দেন।
পরের দিন সকালে ফের জেসলিন পেটে ব্যথা শুরু হয়, এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ডাঃ এ.এন.এম. মাসরুর আহমেদের কাছে।
তিনিও কিছু টেস্ট এবং ঔষধ দিয়ে সেরে যাবে আশ্বাস দেন।
কিন্তু রাতে জেসলিনের পেটের ব্যাথা আরও বেড়ে গেলে চিকিৎসক নাকি জানান, এটা প্যানক্রিয়াসের ব্যথা।
তাকে এখনই গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন এবং একটি এম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও করে দেন।
এই এম্বুলেন্সে করে অসুস্থ জেসলিনকে নিয়ে গুয়াহাটির রওয়ানা হলে রাস্তায়ই তাঁর মৃত্যু হয়।
অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকলেও অক্সিজেন ছিল না, এমনকি জরুরী কালীন যান্ত্রিক ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ অকেজো ছিল। একদিকে ডাঃ সাদিক আহমেদের ভুল চিকিৎসা এবং অন্যদিকে ডাঃ মাসরুর ভুল পরামর্শ ও অকেজো অ্যাম্বুলেন্সকে নিজের মেয়ে জেসলিনের মৃত্যুর দায়ী করেন রানা লস্কর।