আন্তর্জাতিক ডেক্স, গণআওয়াজ : জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন সবচেয়ে দূরবর্তী ব্লেজার সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল, যার ক্ষমতা ৭০ কোটি সূর্যের সমান।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন J0410−0139। এটি কোন সাধারণ কৃষ্ণগহ্বর নয়। এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী কৃষ্ণগহ্বর।
যা পৃথিবী থেকে ১২.৯ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এবং এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে দূরবর্তী ব্লেজার হিসেবে চিহ্নিত করে।
যদি এটাকে পৃথিবীতে নিক্ষেপ করা হয়, তবে এটি সব কিছু ধ্বংস করে দিতে পারে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ব্লেজার কী? ব্লেজার হল এক ধরণের বিরল ছায়াপথ, যাদের কেন্দ্রে অতিবৃহৎ কৃষ্ণগহ্বর থাকে।
এই কৃষ্ণগহ্বরগুলি অত্যন্ত শক্তিশালী জেট নির্গত করে, যা পৃথিবীর দিকে কেন্দ্রীভূত। মহাবিশ্বের সবচেয়ে উজ্জ্বল বস্তুগুলির মধ্যে এটি একটি।
এই কৃষ্ণগহ্বরের চারপাশের বিশাল চৌম্বক ক্ষেত্রগুলি জেটগুলিকে আকৃতি দেয়।
জেটের ভেতরের কণা আলোর গতির কাছাকাছি গতিতে ভ্রমণ করে এবং তড়িৎ চৌম্বকীয় বর্ণালী জুড়ে প্রচুর পরিমাণে শক্তি নির্গত করে।
শক্তিশালী টেলিস্কোপের সাহায্যে J0410−0139 আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে।
এই আবিষ্কারে এএলএমএ, ম্যাগেলান টেলিস্কোপ, ভিএলটি এবং নাসা-এর চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরির মতো শক্তিশালী যন্ত্রগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই যন্ত্রগুলি থেকে সংগৃহীত তথ্য বিজ্ঞানীদের ব্লেজার জেট এবং এর কেন্দ্রে অবস্থিত সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের গভীরে তাকানোর সুযোগ করে দিয়েছে।
যা সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলের গঠন এবং বিবর্তন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছে।
এই ব্লেজার বিগ ব্যাংয়ের ৮০ কোটি বছর পর অস্তিত্ব লাভ করে, যা বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক মহাবিশ্ব সম্পর্কে নতুন প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে সাহায্য করে।
এর আবিষ্কার কেবল কৃষ্ণগহ্বরের উৎপত্তি এবং বিবর্তন সম্পর্কেই নয়, বরং মহাবিশ্বের প্রথম তারা এবং ছায়াপথের গঠন সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করবে।
এছাড়া, এই আবিষ্কার জ্যোতির্বিদ্যায় নতুন আবিষ্কারের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠবে এবং মহাবিশ্বের বিবর্তন সম্পর্কে নতুন জ্ঞানের জন্ম দেবে।
এমনকি রহস্য উন্মোচন করতে সাহায্য করবে।