জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ১ অক্টোবর : মুখ্যমন্ত্রীর কয়েক ঘন্টার করিমগঞ্জ শহরে পুরো সময়ই তার সফরসঙ্গী ছিলেন দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক সিদ্দিক আহমেদ। এমনকি বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের বাসভবন এবং মুখ্যমন্ত্রী শহর ছাড়ার সময় সরকারি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে থাকা হেলিপেডেও হাজির ছিলেন সিদ্দেক। এ নিয়ে জোর গুঞ্জন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা কয়েক ঘন্টার সফরসূচি নিয়ে সীমান্ত শহর করিমগঞ্জে পূজায় সামিল হন। মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে সামনে রেখে গত দু’দিন থেকে প্রতিটি পূজা কমিটি থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন সহ সবাই ব্যস্ত ছিলেন। নির্ধারিত সময়ে হেলিকপ্টারে অবতরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেখান থেকে গাড়িতে উঠে তিনি প্রথমে মাতৃদর্শনে আসেন করিমগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী টাউন কালীবাড়িতে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে টাউন কালিবাড়ির কমিটির সদস্য ছাড়াও দুই সাংসদ ডা: রাজদীপ রায়, কৃপানাথ মালাহ, বিধায়ক কৌশিক রাই, কৃষ্ণেন্দু পাল, বিজয় মালাকার ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উল্লেখযোগ্য হিসেবে সেখানে দেখা যায় উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থকেও। বিধায়ককে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা না গেলেও শাসকদলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা, প্রাক্তন মন্ত্রী দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদ টাউন কালিবাড়ি থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রতিটি মণ্ডপে যান।
তবে কি শীঘ্র বিজেপিতে ভিড়ছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী? এ নিয়ে সিদ্দেক আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে সিদ্দেক আহমেদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত করিমগঞ্জ হোলসেল কো-অপারেটিভ স্টোর্সের চেয়ারম্যান সুব্রত দেব এই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, সিদ্দেক আহমেদ এখন কংগ্রেসে নেই। ফলে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। আর মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক সিদ্দেক আহমেদের। সেই সুবাদে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে সামিল হয়েছিলেন তিনি। বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন সিদ্দেক ঘনিষ্ট সুব্রত দেব।
এদিন, অসুস্থ কংগ্রেস নেতা উত্তম মজুমদারেরও স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। শিলচর রোডের একটি পূজা মন্ডপে মজুমদারের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। তাদের কথোপকথনের সময়ের সামনে উপস্থিত ছিলেন পাথারকান্দির বিধায়ক তথা মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক সমন্বয়ক কৃষ্ণেন্দু পালকে