জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ১১ অক্টোবর : মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে জমা জলে টইটুম্বুর হয়ে পড়েছে করিমগঞ্জ ছন্তর বাজার। হাঁটু সমান জল ছিল বাজারের ভিতরে বিভিন্ন জায়গায়। এর ফলে মারাত্মক নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে বাজারের ব্যবসায়ীদের। অনেক দোকানদারের বিভিন্ন সামগ্রি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্গন্ধময় জমাজল মাড়িয়ে বিশেষ প্রয়োজনে বাজারে আসতে দেখা গেছে জনগণকে। বাজারে এমন পরিস্থিতির জন্য পুর কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করেছেন ছন্তর বাজারের ব্যবসায়ীরা।
ছন্তর বাজারের ভিতরে জমা জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। জল বাইরের দিকে ঠিকমতো কাটতে না পারার ফলে এই সমস্যা দেখা দেয়। বিভিন্ন সময় পুরসভার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক এবং পুর বোর্ড ক্ষমতায় থাকলেও জমা জলের সমস্যার সমাধান করতে দেখা যায়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই আতঙ্ক তাড়া করে ছন্তর বাজারের ব্যবসায়ীদের।

অথচ ছন্তর বাজারের ভিতরে দোকান রয়েছে উপ-পুরপতি সুখেন্দু দাস এবং প্রাক্তন উপ-পুরপতি পার্থসারথি দাসের। কিন্তু এ নিয়ে তাঁদের উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয় নি। বাজারের ব্যবসায়ীরা জমা জলের সমস্যার সমাধান করে দিতে বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় থাকা পুরবোর্ড এবং প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এছাড়া রাজনৈতিক নেতাদেরও দ্বারস্ত হন ব্যবসায়ীরা।
কিন্তু জমা জলের সমস্যার সমাধান করে দিতে কেউ আগ্রহ প্রকাশ করেননি। ফলে সামান্য বৃষ্টিপাত হলে জলে ডুবে পড়ে করিমগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী এবং পুরনো ছন্তরবাজার।
বাজারের ব্যবসায়ী কাজল রায় বলেছেন, বৃষ্টি হলেই আতঙ্ক তাড়া করে বাজারের ব্যবসায়ীদের। জমাজলের সমাধানের জন্য অনেক দৌড়ঝাঁপ করা হয়েছে।
কিন্তু সমাধান হয়নি। মঙ্গলবার সকালের সামান্য বৃষ্টির ফলে ডুবে যায় ছন্তরবাজার। পানপট্টি, মাংস বাজার সহ অন্যান্য এলাকা ডুবে পড়ে। গোপালজি মার্কেটের দিকে যেদিকে জল কাটার কথা সেদিকে জল যেতে পারছে না।

পুরপতি রবীন্দ্রচন্দ্র দেব এই প্রতিবেদককে বলেছেন, ছন্তরবাজারের ভিতর জমাজলের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি এস্টিমেট তৈরি করা হচ্ছে। প্রকৃতি সঙ্গ না দেওয়ায় কাজ করানো সম্ভবপর হচ্ছে না। নালাগুলির গভীরতা আরো বৃদ্ধি করা হবে। বৃষ্টি কমলেই কাজে হাত লাগানো হবে বলে পুরপতি আশ্বাস দিয়েছেন। ছন্তর বাজারের ভিতরে জমা জলের সমস্যার সমাধান না হওয়ার জন্য আগের পুরবোর্ডগুলিকে দায়ী করেছেন তিনি।