নয়াদিল্লী, ২৫ অক্টোবর : সিতরাং ঘূর্ণিঝড় ভারতে উত্তরপূর্বাঞ্চল রাজ্যগুলোতে তেমন ক্ষতি করতে না পারলেও পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশে বেশ ভালই দাপট দেখিয়েছে।
এই সিতরাং ঝড়ের দাপটের বাংলাদেশে অন্তত ৯ জনের প্রানহানির খবর পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে তিনজন একই পরিবারের বলে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে।
সোমবার সন্ধে ৬ টা নাগাদই বাংলাদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় সিতরাংয়ের প্রভাব পড়তে শুরু এবং রাত ৯ টা নাগাদ সিতরাংয়ের ‘আই’ বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানে।
বাংলাদেশার চট্টগ্রাম ও বরিশালে বেশ ঝোড়ো বাতাস ও ভারী বৃষ্টি হয়। এই ঝড়ের দাপটে একাধিক এলাকায় দেওয়াল ও গাছ ভেঙে পড়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।
কুমিল্লায় ৩ জন, ভোলায় ২ জন, সিরাজগঞ্জে ২ জন নড়াইল ও বরগুনায় ১ জন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
এই ঘটনার পরই সেখানে দমকল বাহিনী ও প্রতিরক্ষা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে।
হাজার হাজার মানুষ ও গবাদি পশুকে কক্স বাজার উপকূল থেকে সরিয়ে তাঁদের ঘূর্ণিঝড়ের জন্য তৈরি ৫৭৬ আশ্রয়স্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মঙ্গলবার খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশে তান্ডব চালানোর পর ঘূর্ণিঝড় সিতরাং ঢাকার ওপর দিয়ে সিলেট হয়ে ভারতে প্রবেশ করবে এবং পরে এটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে ভারতের মৌসম ভবনের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিতরাং গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।