জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ২৯ অক্টোবর : নজরকাড়া এবং জমকালো মিছিলের মাধ্যমে করিমগঞ্জে কালী প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। শুক্রবারের পর শনিবারও মিছিল বের করা হয় শহরের কয়েকটি ক্লাবের পক্ষ থেকে।
এবার কালী প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে প্রথমবারের মতো নজরকাড়া মিছিল বের করা হয়েছিল শহরে। এর আগে এ রকমের দৃশ্য চোখে পড়েনি।
করিমগঞ্জে প্রতিবারই বিগ বাজেটের বেশ কয়েকটি কালীপূজা হয়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। জেলা সদরে একাধিক বিগ বাজেটের পূজা সম্পন্ন হয়েছে।
বিগ বাজেটের সব কয়েকটি মন্ডপে প্রচুর ভিড় হয়েছে গভীর রাত পর্যন্ত। পূজা উপভোগ করার জন্য পার্শ্ববর্তী জেলা হাইলাকান্দি এবং শিলচর থেকে অনেকে করিমগঞ্জে আসেন।
করিমগঞ্জ কলেজের মাঠে রক্তিমাভ ক্লাবের পূজায় উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ পূজার কয়েকটা দিন নিজে উপস্থিত থেকে ভিড় সামাল দিয়েছেন।
বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই এই ক্লাবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত রয়েছেন কমলাক্ষ। কলেজের মাঠের ঠিক উল্টোদিকে সপ্তর্ষি ক্লাবের পুজো থাকায় রীতিমতো টক্কর হয়েছে দুই ক্লাবের মধ্যে।
রক্তিমাভ ‘কমলাক্ষের পূজা’ বলে খ্যাত। অন্যদিকে, সপ্তর্ষি ক্লাব ‘কৃষ্ণেন্দু পালের পূজা’ বলে খ্যাত হলেও সবকিছু সামাল দিয়েছেন বিজেপি নেতা বিজু বনিক।
কালী প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে শুক্রবার রাতে শহরে নজরকাড়া মিছিল বের করা হয়। অনেকগুলি ক্লাব পৃথক পৃথকভাবে মিছিল বের করে। সবগুলিই নজরকাড়া ছিল।
একটি ক্লাবের মিছিলে শিলং থেকে ডিজে আনা হয়। শহরের রাস্তায় মিছিল দেখার জন্য দুই ধারে প্রচুর সংখ্যক লোক জমায়েত হয়েছিলেন।
দুর্গাপূজার দশমীর মত পরিচিত ছবি দেখা গেছে। শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত শহরে মিছিল হয়। শহরের প্রধান সড়কেগুলি পরিক্রমা করার পর কালী প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় কুশিয়ারা নদীর বিসর্জন ঘাটে। গভীর রাত পর্যন্ত এলাকায় সক্রিয় ছিল পুলিশ এবং সিআরপিএফ।
এদিকে, কালীপূজা পরবর্তীতে সপ্তর্ষি ক্লাবের উদ্যোগে করিমগঞ্জে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।শুক্রবার রাতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পেশার জনগণ সামিল হয়েছিলেন।
শহরের ইএনডি কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। ক্লাবের সম্পাদক বিজু বণিক ‘গণ আওয়াজ’কে বলেছেন, গত দুই বছর থেকে বড় বাজেটের পূজার আয়োজন করছে সপ্তর্ষি ক্লাব। এবছর দর্শকদের তৃপ্তি দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। রবিবার ক্লাবের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে বলে বিজু বণিক জানিয়েছেন।