হাইলাকান্দিতে নেহরু যুবকেন্দ্রের জেলা ভিত্তিক যুব উৎসব সম্পন্ন 

Spread the love

দেশের উন্নয়নে যুব সমাজ কে এগিয়ে আসার আহ্বান সাংসদ কৃপানাথ মালার

হাইলাকান্দি ৩০ অক্টোবর : দেশের স্বাধীনতার শতবর্ষের মধ্যে ভারতবর্ষকে বিশ্বগুরুর আসনে বসাতে যুব সমাজকে স্বতঃস্ফূর্ত যোগদানে মুখ্য ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানালেন করিমগঞ্জের সাংসদ কৃপানাথ মালা।

শনিবার সন্ধ্যায় হাইলাকান্দি নেহরু যুব কেন্দ্র আয়োজিত জেলা ভিত্তিক যুব উৎসবে মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি।

মালা বলেন, যুব সমাজকে বিভিন্ন ভাবে সক্রিয় রাখতে নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠন যুব ক্লাব গড়ে তোলার মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যসূচী গ্রহণ করে।

২০৪৭ সালে ভারতবর্ষের স্বরূপ কি হতে পারে, তার উপর যুব সমাজের সুচিন্তিত পরামর্শ গ্রহণ করা সহ বিভিন্ন বিষয়ে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়স পর্যন্ত যুবক-যুবতীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠান করার জন্য সাধুবাদ জানান।

নেহরু যুব কেন্দ্রের বরাক উপত্যকার তিন জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত ডেপুটি ডিরেক্টর মেহবুব আলম লস্কর  বলেন, ভারত সরকারের ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ অনুযায়ী দেশব্যাপী জেলা ও রাজ্যস্তরে যুব সম্মেলন, ডিক্লেমেশন, কবিতা লিখন, অঙ্কন,ফটোগ্রাফি ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে।

হাইলাকান্দি জেলাতেও এই প্রতিযোগিতায় যুব প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় প্রায় তিনশতাধিক প্রতিযোগী অংশ গ্রহণ করেছেন।

এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা উন্নয়ন আয়ুক্ত রনজীৎ কুমার লস্কর বলেন নেহরু যুব কেন্দ্রের এধরণের উদ্যোগ সুদূর প্রসারী প্রভাব পড়বে।

বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের যুবক যুবতীরাও এধরণের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জাতীয় স্তরে তাদের প্রতিভা উপস্থাপন করার সুযোগ পাবে।

তিনি যুব সমাজকে দৃঢ় মানসিকতা নিয়ে দেশ গঠনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এদিন প্রথম পর্বে যুবশক্তির পরিচায়ক স্বামী বিবেকানন্দের প্রতিকৃতির সম্মুখে প্রদীপ প্রজ্বলন করেন ডেপুটি ডিরেক্টর মেহবুব আলম লস্কর, কবি প্রাবন্ধিক কল্লোল চৌধুরী, আশুতোষ দাস, প্রবীণ চিত্র শিল্পী নীহারেন্দু চৌধুরী, দীপক সরকার, দীপক চক্রবর্তী, নজরুল ইসলাম বড়ভূইয়া প্রমুখ।

উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন সুদর্শন মিউজিক একাডেমির শিল্পীরা। এরপর পর্যায় ক্রমে শুরু হয় বিভিন্ন প্রতিযোগিতা।

এদিন জেলা স্তরের যুব সম্মেলন থেকে রাজ্য পর্যায়ের জন্য বাছাই করা হয় চারজন প্রতিযোগীকে। তারা হলেন নন্দীতা নাথ, ফরহাত সুলতানা বড়ভূইয়া, সুদীপ রায় ও নির্মল পাণ্ডে।

তরুণ শিল্পী ক্যাম্প (পেইন্টিং) প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে স্নিগ্ধা পাল, দ্বিতীয় মনালী চক্রবর্তী ও পূজা পাল তৃতীয় স্থান অধিকার করে।

তরুণ লেখকদের ক্যাম্প (কবিতা লিখন) প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে রাজা মালাকার, দ্বীতিয় স্থান অধিকার করে  সুস্মিতা অধিকারী ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে ময়ূরী রায়।

মোবাইল ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে প্রীতম রায়, দ্বিতীয় দীপিকা চৌধুরী ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে পার্থীব ভট্টাচার্য।

সাংস্কৃতিক উৎসব (গ্রুপ ইভেন্ট) প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে লালা মনিপুরী কালচ্যারেল ডান্স গ্রুপ, দ্বিতীয় সুদর্শন মিউজিক একাডেমি ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে স্টেপ আপ ডান্স একাডেমি।

 এছাড়া ডিক্লেমেশন কনটেস্ট (বক্তৃতা) প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে গৌরব দে, দ্বিতীয় মুজাদ্দির হাসান বড়ভূইয়া ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে মাহমাদুল হোসেন মজুমদার।

বিজয়ীদের হাতে প্রশংসা পত্র তুলে দেন সাংসদ কৃপানাথ মালা, ডিডিসি রনজীৎ কুমার লস্কর, ক্রীড়াবিদ চন্দ্রকান্ত সিনহা, সাংসদ প্রতিনিধি দিব্যেন্দু চন্দ, মেহবুব আলম লস্কর প্রমুখ।

বিভিন্ন বিভাগে প্রতিযোগীদের বাছাই পর্বে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন কল্লোল চৌধুরী, আশুতোষ দাস, নজরুল ইসলাম বড়ভূইয়া, নীহারেন্দু চৌধুরী, দীপক চক্রবর্তী, দীপক সরকার, ডঃ হিমব্রত চক্রবর্তী, বিজয়িনী ভট্টাচার্য, মনোজ পাণ্ডে, ডঃ শতানন্দ ভট্টাচার্য, অজয় দাস ও নাণ্টু দে। ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন অঙ্কিতা ভৌমিক এবং অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন শংকর চৌধুরী।

Gana Awaz Desk

Avatar

Leave a Reply

create token < a href="https://capablemachining.com/">china cnc milling bep20 token create a usdc token create crypto token create a bep20 token create a token ethereum token stripe token create bnb token create token create a token token mint mint club token