করিমগঞ্জ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের জীবনদায়ী ওষুধ দান রামকৃষ্ণ মিশনকে
জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ১৩ নভেম্বর : করিমগঞ্জ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের জনহিতকর কাজ অব্যাহত রয়েছে। রবিবার সংস্থার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে করিমগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনের যুগ্ম সম্পাদক স্বামী রামভদ্রানন্দজি মহারাজের হাতে ১৩ কার্টুন জীবনদায়ী ওষুধ হস্তান্তর করেন সভাপতি তারাকিশোর বনিক। তখন উপস্থিত ছিলেন সংস্থার অন্যান্য সদস্যও।
করিমগঞ্জ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস অ্যাসোসিয়েশন ব্যবসার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবেই রবিবার ১৩ কার্টুন জীবনদায়ী ওষুধ তুলে দেওয়া হয় মহারাজের হাতে।
নিজের বক্তব্যে স্বামী রামভদ্রানন্দজি মহারাজ করিমগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনের স্থায়ী বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবিরের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা করেন। বলেছেন, এই শিবিরে করিমগঞ্জের অনেক খ্যাতনামা চিকিৎসক রোগী দেখছেন নিয়মিতভাবে। এবং মিশন কর্তৃপক্ষ বিনামূল্যে প্রায় ৮০ শতাংশ ওষুধ বিতরন করছেন। শিবিরের শুরুতে শুধু দরিদ্র শ্রেণীর লোকেরা সেবা নিতেন।
কিন্তু বর্তমানে সনোগ্রাফি, এক্সরে এবং প্যাথোলোজি শুরু হওয়ার পর সমাজের সর্বস্তরের লোকেরা সেবা নিচ্ছেন। রামকৃষ্ণ মিশনের এই সেবামূলক কাজ পরিচালনা হচ্ছে জনগণেরই দানের অর্থে।
তিনি আশা করেন, ভবিষ্যতে রামকৃষ্ণ মিশনের এই স্থায়ী স্বাস্থ্য শিবির করিমগঞ্জের স্বাস্থ্য পরিষেবার উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরী করতে সক্ষম হবে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পরিষেবাও রামকৃষ্ণ মিশনে অবিলম্বে শুরু করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, করিমগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালিত বিবেকানন্দ ডায়াগনস্টিক সেন্টার-এর সার্বিক ব্যবহার দায়িত্বে রয়েছেন স্বামী রামভদ্রানন্দজি। এখানে যে বিভিন্ন পরিষেবা রয়েছে, তার টেস্টের খরচ অন্যান্য জায়গার তুলনায় অনেক কম।
মানুষের শরীরে এন্টিবায়োটিক ওষুধের কুপ্রভাবের প্রসঙ্গও এদিন তুলে ধরেন করিমগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনের যুগ্ম সম্পাদক। তিনি ন্যাচারোপ্যাথী অর্থাৎ প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধের উপায় অবলম্বন করার উপর বেশী নজর দিতে পরামর্শ দেন।
মহারাজ বলেছেন, প্রকৃতি মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা দিয়েছে। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, প্রাণায়াম, যোগচর্চা এবং উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাসে অনেক রোগ এমনিতেই নিরাময় হয়।
অযথা ওষুধ ব্যবহার করতে তিনি বারন করেন। নিজে হাইপ্রেসার এবং ডায়বেটিক রোগের শিকার হয়েছিলেন, এ কথা উল্লেখ করে রামভদ্রানন্দজি বলেছেন, এখন আর কোন ওষুধের প্রয়োজন হয় না। চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এখন আর ওষুধ খেতে পরামর্শ দেন না। তাই তিনি জনসাধারণকে ওষুধের চেয়ে ন্যাচারোপ্যাথীর উপর নির্ভরশীল হওয়ার পরামর্শ দেন।