কাটিগড়া, ১৩ নভেম্বর : কাটিগড়ার অসংখ্য সমস্যা সমাধানে নাগরিক সমাজকে একজোট হয়ে লড়তে হবে। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উদযাপন করলেও সদর্থক অর্থে বরাক উপত্যকার সামগ্রিক উন্নয়ন আজও অধরা।
রবিবার কাটিগড়া নাগরিক মঞ্চের আহ্বানে কাটিগড়া মহকুমার বিভিন্ন দাবী ও গ্যামন সেতুর বিকল্প সেতুর নির্মাণ সহ একুশ দফা দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে আয়োজিত নাগরিক সভায় এমনি আক্ষেপজনক বক্তব্য উঠে আসে বিভিন্ন বক্তার কণ্ঠে।
বিশিষ্ট সমাজকর্মী সিরাজ মজুমদারের পৌরহিত্য সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাগরিক মঞ্চের আহ্বায়ক ডঃ শ্যামসুন্দর চৌধুরী।
সমস্যাজর্জরিত কাটিগড়া সমষ্টি ন্যায্য পাওনা থেকে বছরের পর বছর ধরে বঞ্চিত। অথচ রাজনৈতিকভাবে শাসক-বিরোধী নির্বাক।
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ঘটা করে মহকুমা ঘোষণা করা হয়েছিল এবং রাতারাতি কাটিগড়া সিভিল সাবডিবিশন অফিসের বোর্ড সেঁটে তদান্তীন সার্কল অফিসার ডঃ খালেদা সুলতানাকে সিভিল সাবডিবিশন অফিসার হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
কিন্তু পরবর্তী সময়ে বোর্ড থাকলেও অফিসার নেই, নেই পরিকাঠামো, নেই সহযোগী সরকারি অফিস কাছারি এটা ভাঁওতা নয়তো কি?
কেন্দ্রে এবং রাজ্যে কাদের নেতৃত্বে সরকার অধিষ্ঠান করছে, কোন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে সরকার চলছে তা আলোচনার বিষয় নয়।
গণতান্ত্রিক পদ্ধতি সরকার গঠন হবে, পরিবর্তন হবে, এটাই নিয়ম।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ভাঁওতা কেন? সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে আন্তর্জাতিক ও আন্তঃরাজ্য সীমান্তবর্তী কাটিগড়া কেন্দ্রটি বঞ্চিত কেন? বৃহত্তর কাটিগড়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক অরাজনৈতিক সংগঠনের কর্মকর্তাদের বক্তব্যে এমন প্রশ্নই বেশ জোরালো হয়ে উঠে।