চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা, মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য।
শুভ দাস, ১৪ নভেম্বর : কবির এই কবিতার পংক্তির সাথে জড়িয়ে রয়েছে কত নারীর জীবনের গল্প এবং কত পুরুষের ভালোলাগা! আর সেই সৌন্দর্যকেই বিসর্জন দিয়ে ক্যান্সার রোগীদের পাশে দাঁড়াতে চাইছে শিলচর কাছাড় কলেজের ছাত্রী দীক্ষিতা।
সদ্য গ্র্যজুয়েশন পাশ করা মেয়েটির চিন্তাধারার অনেকেই প্রশংসা করেছেন।
সুদীর্ঘ, সুন্দর কেশ যে কোনও নারীর অহংকার। কথায় বলে, মেয়েদের সৌন্দর্যের আসল রহস্যই নাকি লম্বা, ঘন চুল। সেই চুল কেউ স্বেচ্ছায় কেটে অন্যকে দান করতে পারে, সেকথা হয়ত সত্যিই চট করে কোনও মেয়ের পক্ষেই ভাবাটা কঠিন।
কিন্তু আজকের যুগে প্রায়ই দেখা যায় সৌন্দর্য্য বর্ধনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মারণ ব্যাধি কর্কট রোগ।
দীক্ষিতা জানায় যে সে মুম্বাইয়ের ক্যান্সার অর্গেনাইজেসন কে চুল গুলি দান করবে। সে আরও বলে যে আমার এই কাজে মাত্র এক জন ক্যানসার রোগীর উপকার হবে।
কিছুটা হলেও তাঁদের মুখে হাসি ফুটবে, এটা আমার দৃঢ বিশ্বাস। ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের চুল দানে সকলকে সচেতন করতেই এমন কাজ করলাম।’’
এই বয়সে তার এই অভিনব উদ্যোগ সত্যিই কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। কথায় আছে, মানুষ মানুষের জন্য, সেই জলন্ত উদাহরণ শিলচরের দীক্ষিতার।
আসলে সত্যিই যদি কিছু করার ইচ্ছে থাকে তবে মনে হয় কোন ব্যারিকেড বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।
দীক্ষিতার এই মহান উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে ভবিষ্যতে আরও অনেকেই এ ভাবে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের জন্য চুল দানে এগিয়ে আসবে, যাদের এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মাথার চুল ছাটাই করে দেওয়া হয়। সেই তাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যই তার এই প্রয়াস এবং তার এই প্রচেষ্টা সার্থক হবে বলে মনে করে দীক্ষিতা।