দীপন কুমার দাস, কাটিগড়া, ২২ সেপ্টেম্বর : স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া সহ জনগণ মিলে প্রায় ১০ হাজারের অধিক গ্রাহক রয়েছেন আসাম গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের জালালপুর শাখায়।
৬টি জিপির লক্ষাদিক মানুষের একমাত্র ব্যাংকিং ভরসা স্থল আসাম গ্রামীন বিকাশ ব্যাঙ্কের জালালপুর শাখা। কিন্তু আচমকাই ব্যাঙ্কের এই শাখা স্থানান্তরিত করে গুমড়া বাজার শাখার সঙ্গে সংযুক্ত করে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
এই শাখা পুনর্বহালের দাবিতে পশ্চিম কাটিগড়ার প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য বিজেপি নেতা সুব্রত চক্রবর্তী ও কংগ্রেস নেতা কনক নাথের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল অতিরিক্ত জেলা শাসক এবং আসাম গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের রিজিওন্যাল ম্যানেজারের সাথে দেখা করে গণ দাবি তুলে ধরেন।
তাদের বক্তব্য গ্রাহকদের না জানিয়ে আচমকাই আসাম গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের জালালপুর শাখা উঠিয় গুমড়া শাখার সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে স্বাভাবিক ভাবেই দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে এই শাখার ১০ হাজার গ্রাহককে।
এর আগে গত সোমবার ব্যাংকের শাখার সামনে ধর্নায় বসেন গ্রাহকরা, হয় প্রতিবাদী সভাও। এই সভার সীদ্ধান্ত মতে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের পক্ষে এডিসি মনসুর আলম মজুমদার ও আসাম গ্রামীন বিকাশ ব্যাংকের রিজিয়ন্যাল ম্যানেজার জয়ন্ত পালের সাথে দেখা করেন প্রতিনিধি দল।
উভয় আধিকারিক উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দিয়েছেন। ম্যানেজার পালের কথায়,ব্যাংকের শাখা উঠিয়ে নেওয়াটা তাদের ইচ্ছায় হয় নি, উর্ধতন কর্তাদের নির্দেশেই এমনটা করা হয়েছে।
তবে তিনি একদিন এসে গ্রাহকদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবার আস্বাস দেন।
উল্লেখ্য, য, কাছাড় জেলার ইন্দো-বাংলা সীমান্ত কাটিগড়ার জলালপুরে গত ৬ বছর আগে ঘটা করে আসাম গ্রামীন বিকাশ ব্যাংকের শাখা স্থাপন করা হয়।
দীর্ঘ এই ছয় বছরে অনেক গ্রাহক ও ঝুটেছে। পিছিয়ে পড়া এই এলাকার হাজার হাজার মানুষ নিজেদের উপার্জিত অর্থ গচ্ছিত রেখেছেন এই ব্যাংকে।
কিন্তু বিঁধি বাম, আচমকাই এই শাখা উঠিয়ে দিয়ে কম করে দশ কিঃমি দুরবর্তী গুমড়া গ্রামীন ব্যাংকের সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে যা কোন অবস্থায় মানতে নারাজ জলালপুর সহ প্বার্শবর্তী এলাকার গ্রাহকরা। যদি গণ দাবি পূরণ না হয় তাহলে ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজপথে নেমে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ভুক্তভোগী জনগণ।