চাঁদা তুলে রাস্তা কাজ করলেন ভুক্তভোগী জনগণ!
আব্দুর রহমান, নিলামবাজার : পরিবর্তনকামী ডবল ইঞ্জিন সরকার উন্নয়নের উন্নয়নের জয়গান গেয়ে বেড়ালেও, বাস্তব কিন্তু অন্য কথার জানান দিচ্ছে।
এমনকি দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদ কংগ্রেস আমলে লাগাতার তিনবার বিধায়ক থেকে শুরু করে সংসদীয় সচিব ও ক্যাবিনেট মন্ত্রীও হয়েছিলেন।
২০২১ -এর বিধাসভা নির্বাচনে আবারও বিপুল ভোটে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন।
কিন্তু দক্ষিণ করিমগঞ্জের আওতাদিন জিপি গুলোর গ্রামীণ রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত বেহাল।
বিশেষ করে সিদ্দেক আহমেদের ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত বান্দরকোনা জিপিতে স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর পর আজও জনগণ যোগাযোগের রাস্তা থেকে বঞ্চিত।
নির্বাচনের সময় বিধায়ক থেকে শুরু করে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা জনগণকে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট ভিক্ষা করলেও বৈতরণী পার হওয়ার পর তারা বেমালুম ভুলে যান।
দক্ষিণ করিমগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বান্দরকোনা গাঁও পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মইনাআলা, নজরঝুড়ি গ্রামের জনগণ রাস্তার জন্য নরক যন্ত্রণায় ভুগছেন।
গ্রামের ভুক্তভোগী জনগণের অভিযোগ স্বাধীনতার দীর্ঘ বছর অতিক্রম করলেও রাস্তার সমস্যায় ভুগছেন তারা।
নঝড়জুড়ী গ্রামে রাস্তার জন্য গ্রামবাসী আজও আ্যাম্ভুলাস পরিসেবা থেকে বঞ্চিত। গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে তাকে কোলে বা কাধে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।
এমনকি ছোট ছোট বাচ্ছারা নিজের বাড়িতে পড়া লেখা করতে হয়, বিদ্যালয় যাওয়ার মতো কোন রাস্তা নেই।
স্থানীও পঞ্চায়েত সভাপতি আব্দুল বাছিতকে আবেদন জানালেও কোনো লাভ হয়নি, তিনি বলেন যে এই রাস্তাটির নামে কোনো দুষ্কৃতি কাজ না করেই লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
যার ফলে নেটের মধ্যে এই রাস্তাটি পাকা রয়েছে বলে দেখাচ্ছে, সুতরাং নতুনভাবে এই রাস্তায় কাজ দেওয়া সম্ভব হবে না।
তাই বাধ্য হয়ে স্থানীও বাসিন্দা হাইকোর্টের আইনজীবী মজির উদ্দিন খান, রুহুল আহমেদ, ছাদ উদ্দিনরা নিজেদের মধ্যে চাদা তুলে কাচা রাস্তা মেরামত করছেন।
তিন-চারদিন থেকে তারা জেসিবি লাগিয়ে রাস্তা নির্মাণ করছেন।
তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, একই গ্রামের আব্দুস ছত্তারকে ভোট দিয়ে এপি সদস্য এমনকি পাথারকান্দী আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সভাপতি করার পরও কোনো লাভ হয়েনি। শীঘ্রই গ্রামের এই বেহাল রাস্তা সংঙ্কার করার জন্য এলাকার জনগণ করিমগঞ্জের জেলা শাসক মৃদুল যাদব এবং সংশ্লিস্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।