নিউজ ডেক্স, গণআওয়াজ : এক দিকে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে ট্যাক্সের উপরে ট্যাক্সের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে কর্মকর্তাদের লম্বা মাইনে দিচ্ছে সরকার।
অন্যদিকে উৎকোচ ছাড়া সাধারণ মানুষের কোন কাজই করছে না বিভাগীয় কর্মকর্তারা। সরকারী প্রায় প্রতিটি বিভাগে অবাধে চলছে এই লুণ্ঠন।
কিছু কিছু সাহসী লোক সরকারী কর্মকর্তাদের এসব অবৈধ কার্যকলাপ প্রকাশ্যে নিয়ে আসার পরও সরকার কিংবা বিভাগীয় আধিকারিকরা সাস্তির ব্যবস্থা না করে আস্কারা দিয়ে যাচ্ছে।
নীরব দরশকের ভুমিকায় কর্মচারী পরিষদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছেন সাধারণ মানুষ।
কিছুদিন আগে কাটিগড়া সার্কেল অফিসের এক পাটুয়ারী শাহাদ হুসেনের অফিসের চেয়ারে বসে ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
সাধারণ মানুষ আশা করেছিলেন, সরকার হয়তো তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তদন্ত করে তার অবৈধ সম্পত্তির পাহাড় জব্দ করবে এবং চাকরী থেকে বরখাস্ত করা হবে।
কিন্তু কি হয়েছে? শুধুমাত্র বদলী করে আরও বেশী করে সাধারণ মানুষকে লুণ্ঠনের আস্কারা দেওয়া হয়েছে।
এর সপ্তাহকানের মধ্যে সামনে আসে কাটিগড়া সার্কেলের কানুনজ্ঞ মনুজ অধিকারীর ঘুষ নেওয়ার ভিডিও। অফিসের চেয়ারে বসে অবাধে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ঘুষ নিচ্ছেন মনোজ।
জানাগেছে, মনোজ অধিকারী সাধারণ পাটুয়ারীর চাকরী করে শিলচর শহরে নামে-বেনামে চার থেকে পাঁচটি বাড়ির মালিক হয়েছে।
এছাড়াও তার রয়েছে আরও অবৈধ সম্পত্তির পাহাড়।
যার তদন্ত হওয়া খুবই জরুরী, কিন্তু কে তদন্তও করবে? তার ঘুষ নেওয়ার ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর স্বয়ং জেলাধিপতি তাকে বুকে টেনে নিয়েছেন। আজ সহাস্যে জেলা শাসকের কার্যালয়ে এসে যোগদান করেছে ঘুষকোর মনুজ অধিকারী।
তার মধ্যে এই অবৈধ কাজের জন্য বিন্দুমাত্র ভয় বা অনুতাপ পরিলক্ষিত হয়নি।