আব্দুর রহমান, বিনোদিনী বাজার : বিজেপি নেত্রী শিপ্রা গুণকে করমিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করতে পঞ্চায়েত ডিলিমিটেশন করে চারটি জিপি দিয়ে নিলামবাজার জেলা পরিষদ গঠন করেছেন বিধায়ক সিদ্দেক!
এনিয়ে ক্ষুব্ধ নিলামবাজার নাগরিক অধিকার মঞ্চের সভাপতি জয়নুল হক। এনিয়ে তিনি সিদ্দেকের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফার দাবীও জানান।
দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিভিন্ন জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েতের নাম বিলুপ্তি সহ ওয়ার্ডগুলোর ভৌগালিক পরিবর্তনের প্রতিবাদে নিলামবাজারে মঞ্চের কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় তিনি এই দাবী জানান।
সংস্থার সভাপতি জয়নুল হক, আইনজীবী জাকির আহমেদ, কবির আহমেদ চৌধুরীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিধায়ক সিদ্দেক বিজেপির ইশারায় মাত্র চারটি জিপি দিয়ে নিলামবাজার জেলা পরিষদ গঠন করেছেন।
তারা বারইগ্রাম জেলা পরিষদের নাম বিলুপ্ত করে লক্ষিবাজার জেলা পরিষদে প্রায় নবই হাজার ভোট একত্রিত করায় বিধায়ক সিদ্দেক দায়ী করলেন তারা।
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিধায়ক সিদ্দেক পঞ্চায়েত ডিলিমিটেশন কমিটির সদস্য থাকার পরও তাঁর মতামত ছাড়া কি ভাবে এতো অনিয়ম হতে পারে।
তাঁদের মতে, সিদ্দেক একজন অকর্মণ্য বিধায়ক, তাই তাঁর সমষ্টির জনগণের মঙ্গল জনক কোনো কাজ করতে পারেননি।
শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং বিজেপির কিছু পাতিনেতাদের খুসি রাখতে সর্বাবস্তায় নিরব ভুমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
এতে সাধারণ মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
অথচ নির্বাচনের আগে দক্ষিণ করিমগঞ্জের জনগণকে বলেছিলেন তিনি নাকি সমস্ত আসামের ক্ষৌমের টিকাদার।
আজ ক্ষৌম দরদি নেতার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেন না বলে তাকে নিয়ে সাধারন মানুষ সমালোচনা করছে। তাই এধরনের বিধায়ককে পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার যোরালো দাবি জানান সংস্থার কর্মকর্তারা।
এখানেই শেষ নয়, তারা একটি সম্প্রদায়ের জনপ্রতিনিধিত্ব কমিয়ে অন্য সম্প্রদায়ের জনপ্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ডিলিমিটেশনের ঘৃন্য রাজনীতির সমালোচনা করেন।
তারা এই ডিলিমিটেশনে ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন, রাজনীতির নামে বিজেপি এক ধরনের তামাশা চালিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও ডিলিমিটেশন নিয়ে আদালতে মামলা করারও হুমকি দেন সংস্থার কর্মকর্তারা। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুব কংগ্রেস সহ সভাপতি আশরাফুন নূর চৌধুরী, প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুর রউফ, শংকর মালাকার, গান্দাই জিপির প্রাক্তন সভাপতি রুহুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।