আব্দুর রহমান, গণআওয়াজ বিনোদিনী বাজার : সিদ্দেকের পায়ের নিচে মাটি নেই, তাই পঞ্চায়েত ভোটার তালিকা থেকে নিজের নাম কর্তন করে আন্দোলনের নামে নতুন নাটক শুরু করেছেন।
এই বিস্ফোরক মন্তব্য রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল মোক্তাদির চৌধুরীর। তার প্রশ্ন, সিদ্দেক দক্ষিণ করিমগঞ্জের মানুষকে আর কত বোকা বানাবেন?
গৌতম রায়, বিজেপি, কমলাক্ষের জুজুর ভয় দেখানোর পর এবার পঞ্চায়েতের খসড়া ভোটার তালিকা নিয়ে জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন।
তিনি, সিদ্দেককে এসব বন্ধ করে উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন। মুক্তাদির বলেন, সিদ্দেক প্রতিটি নির্বাচনে দক্ষিণ করিমগঞ্জের মানুষকে ভয় এবং বোকা বানিয়ে জয়ী হয়েছেন।
একসময় গৌতম রায় সব মুসলমান সহ তাকে মেরে ফেলবে, আবার গৌতম রায়ের হাত থেকে বাচতে হলে তাকেই নির্বাচিত করতে হবে, এসব বলে জয়ী হয়েছেন।
এরপর বিজেপি সরকার ও হিমন্ত বিশ্বশর্মা আজান বন্ধ করে দেবে, মুসলিমদের ইমান রক্ষা এবং কৌম বাচাতে তাকে নির্বাচনে জয়ী করতে মিথ্যা শ্লোগান তুলে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।
কিন্তু, নির্বাচনে জেতার পর বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলাতো দুরের কথা হিমন্ত বিশ্বশর্মার চাটুকারিতাও করেছেন। কাশ্মীর ফাইল সিনেমা নিয়েও বিধায়ক সিদ্দেককে আক্রমণ করেন মুক্তাদির।
তিনি বলেন, বিজেপির বিধায়ক ছাড়া একমাত্র সিদ্দেকই এই সিনেমা দেখেছেন।
রাজ্যসভার নির্বাচনে সিদ্দেক বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভোট নষ্ট করে কংগ্রেস ও জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার অভিযোগ করেন মুক্তাদির। এরজন্য তাঁকে কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড করা হয়।
তাই জনগণের কাছে যাওয়ার তার আর কোন রাস্তা না থাকায় এবার পঞ্চায়েতের ভোটার তালিকাকে ইস্যু করতে চাইছেন। কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী মুক্তাদির বলেন, রাজ্যর বিভিন্ন এলাকায় সিদ্দেকের জায়গা রয়েছে।
তাঁর প্রশ্ন, এগুলো হলো কিভাবে? বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার আগে যার একটি মাত্র বাইক ছিল, আজ সে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি মালিক হল কি করে?
সিদ্দেক তাঁর এই সম্পত্তি রক্ষার জন্য আগে থেকেই বিজেপিকে সাহায্য করে আসছেন।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনে যোগ্যদের বঞ্চিত করে বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আফ্রুজাকে ললিপপ দেখিয়ে বিজেপির হাতে বিক্রি করেছিলেন। মুক্তাদির দক্ষিণ করিমগঞ্জের জনগণকে আর বোকা বানানোর চেষ্টা না করে উন্নয়নে নজর দিতে বিধায়ক সিদ্দেককে পরামর্শ দেন।